সিলেটের বিশ্বনাথে বেপরোয়া গতির বাসের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন। এসময় নারীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন । মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকেল সাড়ে তিনটারর দিকে বিশ্বনাথগামী ওই বাসটির ধাক্কার সিলেটগামী গ্যাসের সিলিন্ডার বোঝাইকৃত ১টি পিকআপ (ঢাকা মেট্রো-ঠ ১৪-০১৮৫), ৪টি অটোরিক্সা (সিএনজি) ও ৩টি ব্যাটারিচালিত টমটম ভাংচুর হয়। ঘটনার পরপরই বাসের চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

পৌর শহরের রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের গেইটের সামনে দূর্ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। দূর্ঘটনার পর স্থানীয় জনতা আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। এসময় গুরুতর আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও নিয়ে যান।

এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুরুতর আহত পথচারী মোহাম্মদ আলী (৪২) মারা যান। তিনি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার জাহিদপুর গ্রামের তাহিদ আলীর পুত্র। জানা গেছে অসুস্থ স্ত্রীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় বাসের ধাক্কায় আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন মোহাম্মদ আলী।

বাসের ধাক্কায় আহতরা হলেন- বিশ্বনাথ পৌর শহরের কারিকোনা গ্রামের মৃত আব্দুর রশীদের পুত্র টমটম চালক মাহবুব আলম (৪২), টমটমের যাত্রী সুলতানা বেগম (৩৫), উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের মৌজপুর গ্রামের সাজ্জাদুর রহমানের পুত্র পিকআপ চালক সুহেল আহমদ (৪০), দশঘর ইউনিয়নের চান্দভরাং গ্রামের কিতাব আলীর পুত্র অটোরিক্সা (সিএনজি)’র যাত্রী সাজ্জাদুর রহমান (২৫), পথচারী সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার জাহিদপুর গ্রামের কামরান আহমদ (২৫) ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিসহ অন্তত ১০ জন । এরমধ্যে ২-৩ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।।

এঘটনায় বেপরোয়া গতির বাস এবং ক্ষতিগ্রস্থ পিকআপ ও ১টি টমটম জব্দ করে থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুর রহমান বলেন, দূর্ঘটনায় মোহাম্মদ আলী নামের ১ জন মারা গেছেন। আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।