বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী আবুল হোসেনকে অপহরণ করা হয়েছে ঘটনায় এলাকায় সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। অথচ ব্যবসায়ী যুবক আবুল হোসেন অপহরণ হননি। তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় র‌্যাব-০৯।

মানবপ্রচারের অভিযোগে আবুল হোসেন (২৫) গ্রেপ্তার করা হয় বলে বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব-৯-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এরআগে বুধবার বিকেলে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে আবুল হোসেনকে অপহরণ করার অভিযোগ করে বৃহস্পতিবার সকালে গোলাপগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন আবুল হোসেনের বড় ভাই ফরহাদ আহমদ।

তার অভিযোগ,বৈটিকর বাজার থেকে আবুলকে জোরপূর্বকভাবে একটি কালো গ্লাসের মাইক্রবাস ( হাইএস) দিয়ে অজ্ঞাত কয়েকজন লোক তুলে নিয়ে গেছে।

আবুলকে উদ্ধারের দাবিতে ওই দিন সকাল ১০ টায় সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বৈঠক বাজারে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় এলাকাবাসী।

আবুল হোসেন উপজেলার ফুলবাড়ি ইউপির দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আবুল হোসেন ফুলবাড়ি দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মৃত তছু মিয়ার পুত্র।

তবে বুধবার রাতে র‌্যাব-৯-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মোঃ মনিরুজ্জামান প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মানব পাচারের অভিযোগে আবুল হোসনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (৯ আগস্ট) বিকাল ৫ টায় উপজেলার বৈটিকর বাজার থেকে মানব পাচারকারীর সদস্য হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তারের পর তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে । এসময় তার কাছ থেকে মুক্তাদির নামের এক অপহৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়। মুক্তাদির কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব পালজুড় গ্রামের জসিম উদ্দিনের পুত্র।

গত ১০ জুলাই জসিমের বাবা বাদি হয়ে কানাইঘাট থানায় একটি অপহরণ মামলা ( ৭/১০-৭) দায়ের করেন এবং তিনি সিলেট র্যাব -৯ এর নিকটও অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে শুক্রবার গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মীর মোহাম্মদ আবু নাসের বলেন, অপহরণ নয়, আবুলকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছে।

কানাইঘাট থানাই ওসি (তদন্ত) নুনু মিয়া বলেন, র‌্যাব-৯ আবুলকে আমাদের নিকট হস্তান্তরের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ হয়েছে।