তারা তিনজন। তিনজনের বয়স ২০ থেকে ৩০-এর মধ্যে। একজনের বাড়ি ময়মনসিংহ, আরেকজনের বি-বাড়িয়া ও তৃতীয়জনের বাড়ি রাজশাহীতে। তারা দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে ‘ভাসমান কন্যা’ হিসেবে পরিচিত। টাকার বিনিময়ে বিলিয়ে দেন নিজের শরীর, জড়ান অসামাজিক কাজে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গত ৫ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) রাতে দক্ষিণ সুরমা থানাধীন ভার্থখলাস্থ অভি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। তাদের সঙ্গে আটক করা হয় চারজন পুরুষকে। এই তিন নারীর ‘খদ্দের’। বর্তমানে তারা সবাই জেলহাজতে।

এ বিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার আটক হওয়া তিন নারীর মধ্যে একজনের বাড়ি ময়মনসিংহ, আরেকজনের বি-বাড়িয়া ও তৃতীয়জনের বাড়ি রাজশাহীতে। তারা দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে থেকে অসামাজিক কার্যকলাম চালিয়ে আসছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভার্থখলাস্থ অভি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে চার পুরুষসহ এ তিন নারীকে আটক করা হয়। তারা সবাই বর্তমানে জেলহাজতে।

সম্প্রতি সিলেটে অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। প্রতিদিনই সিলেট মহানগর এলাকায় পুলিশের জালে ধরা পড়ছেন ছোট-বড় অপরাধী। দেয়া হচ্ছে শাস্তি, পাঠানো হচ্ছে কারাগারে। যে কারণে সম্প্রতি আতঙ্কে আছেন সিলেটের চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী ও ধর্ষকসহ নানা রকমের অপরাধী।

এদের পাশাপাশি দৌঁড়ের উপর আছেন অন্ধকার জগতে পা দেয়া ‘নিশিকন্যারা’। গত কয়েকদিন থেকে সিলেট মহানগরীর আবাসিক হোটেলগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ৫ ফেব্রুয়ারির আগে মাত্র সাত দিনে সিলেটের তিনটি আবাসিক হোটেল থেকে ২৮ জন নারী-পুরুষ অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে আটক হয়েছেন। পরবর্তীতে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

শুধু এই তিন হোটেলই নয়, নির্দিষ্ট তথ্য ও তালিকার ভিত্তিতে নগরীর হোটেলগুলোতে অভিযান চালানো হবে- এমনটাই জানিয়েছে এসএমপি সূত্র। ইতোমধ্যে সিলেট মহানগরীতে অবস্থিত আবাসিক হোটেলগুলোর তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। এর মধ্য থেকে সন্দেহের তালিকায় থাকা হোটেলগুলোতে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এছাড়াও অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে- তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া এমন তথ্যের ভিত্তিতে যে কোনো হোটেলে ঝটিকা অভিযান চালাবে পুলিশ।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, ‘সিলেট মহানগরীর আবাসিক হোটেলগুলোকে কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সিলেটে অসামাজিক কার্যকলাপ দমনে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ইতোমধ্যে মহানগরীর আবাসিক হোটেলগুলোর তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। সিলেট মহানগরীতে মোট ১৯৪টি আবাসিক হোটেল রয়েছে। এর মধ্য থেকে সন্দেহের তালিকায় থাকা হোটেলগুলোতে দ্রুত অভিযান চালানো হবে। এছাড়াও তাৎক্ষণিক পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

তথ্যসূত্র- সিলেটভিউ২৪।

বিয়ানীবাজারের পাতনে ঐতিহ্যের চুঙ্গাপুড়া উৎসব উদযাপন