ঈদকে সামনে রেখে বেপরোয়া হয়ে উঠছে ছিনতাইকারীরা। প্রতিদিন পাড়া মহল্লায় কেউ না কেউ ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্তক অবস্থায়  থাকার পরও ছিনতাইকারীদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ছিনতাইকারীরা টাকা পয়সা নেয়ার সাথে সাথে মানুষজনকে আঘাত করার কারণে অনেকেই মৃত্যু পথ যাত্রী বা কেউ কেউ মারাও যাচ্ছেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আইনশঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন সবোর্চ্চ চেস্টা চালাচ্ছে। দু‘একটা বিছিন্ন ঘটনা ঘটছে।

গত রোববার রাত সাড়ে নয়টায় ঢাকা থেকে নিজের বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন সালেহা শফিক নামের এক মহিলা। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্দিক্ষণে। নগরীর আল হামরামাইন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। 

তার ছেলে সাইদুস সালেহীন একটা বেসরকারী গ্যাস কোম্পানীর কর্মকর্তা। 

তিনি জানান, তার মা ঢাকা থেকে বাসা এসে হুমায়ন রশিদ চত্বরে নামেন। সেখান থেকে সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে উপশহরে বাসায় আসছিলেন। নতুন ব্রীজের শেষ মাথায় আসার আগেই মটরসাইকেলে তিন ছিনতাইকারী এসে হাতের ব্যাগ টান দেয়। তিনি চলন্ত গাড়ী থেকে রাস্তা পড়ে যান। ছিনতাইকারীরা ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। রাস্তায় পড়ে মাথার বা পাশে আঘাত পান। সেখান থেকে লোকজন উদ্ধার করে আলহারামাইনে নিয়ে আসে। সাড়ে চার ঘন্টা মাথায় অপারেশন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। 

সাইদুস সালেহীন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। 

আহত সালেহ শফিক উপশহর ই ব্লকের ৫নং রোডের ১৮৬ নং বাসার মো. শফিক উদ্দিনের স্ত্রী। তাদের মূলবাড়ী বিয়ানীবাজার উপজেলার কোনাগ্রামে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) এর অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) আব্দুল ওয়াহাব বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবোর্চ্চ সর্তক রয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে ছিনতাইসহ সব ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। তবুও দু’একটা বিছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। সালেহা শফিকের বিষয়টা তিনি গুরুত্বসহকারে দেখছেন বলেও জানান।