নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে আপাতত শিল্পীদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জানিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সেখানে কোনো শিল্পী প্রবেশ বা আড্ডা দিতে পারবেন না, নির্বাচনী প্রচারণায় সমিতি ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আগামী ২৫ অক্টোবর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পূর্ন করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান এ অভিনেতা।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে বেশ অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্ম হয়েছে। সমিতির কার্যালয়ে সম্প্রতি খল অভিনেতা ড্যানিরাজের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন এবারের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ও জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী। এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতেই নতুন এই নিষেধাজ্ঞ।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘শিল্পীদের নির্বাচন নিয়ে যেনো কোন প্রকার বিতর্ক না উঠে। আমি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে চাই। নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের দিন পর্যন্ত সমিতির ভেতর আড্ডাবাজি, চা খাওয়া বা ভোটের প্রচারণার জন্য ব্যবহার করা যাবে না। মৌসুমীর সঙ্গে ড্যানিরাজের বাকবিতণ্ডা হওয়ার পর আমার মনে হয়েছে, বিষয়টি নজরে আনা দরকার।’

শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান। অন্যদিকে স্বতন্ত্র ভাবে সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী আর সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন ইলিয়াস কোবরা।