এশিয়া কাপের ফাইনালে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটে নেমে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। ওপেনার লিটন দাস এবং মেহেদি মিরাজের উদ্বোধনী জুটিতে ১২০ রান তোলে টাইগাররা। যা ২০১৬ সালের পর সবচেয়ে বড় ওপেনিং জুটি। ওই জুটি ভাঙার পর ১৫১ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে ক্রিজে থাকা লিটনের ব্যাটে আসা দেখছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ খবর পর্যন্ত বাংলাদেশ ৩৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান তুলেছে।

এ ম্যাচে ওপেনে সৌম্য সরকারের পরিবর্তে মেহেদি মিরাজকে ওপেনে নামিয়ে চমক দেয় বাংলাদেশ। মেহেদি মিরাজও ভালো শুরু করেন। এরপর নিজের ৩২ রানে কেদার যাদবের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তারপরে ৩১ রানে আরও ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নিজের ২ রানে ফেরেন ইমরুল।দলের অন্যতম ভরসা মুশফিকও ফেরেন ৫ রানে ক্যাচ দিয়ে। শূন্য রানে কোন বল খেলার আগেই রান আউট হন মিঠুন। এছাড়া মাহমুদুল্লাহ আউট হন ৪ রান করে। তবে লিটন দাস ১০০ বলে ১০৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে এখনো ব্যাট করছেন। তার সঙ্গে আছেন সৌম্য সরকার।

এশিয়া কাপে ভারত ফিল্ডিংয়ে ভালো করায় প্রথমে ফিল্ডিং করার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। আফগানদের বিপক্ষে যে পাঁচজন ভারতের দলে ছিলেন না তারা এ ম্যাচে আবার দলে ফিরেছেন।

বাংলাদেশ এ ম্যাচে এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে। দলে ফিরেছেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। তার বদলে দলের বাইরে রাখা হয়েছে মুমিনুল হককে। বাংলাদেশ দল চাপ সামলে ফাইনালে উঠেছে। আর তাই ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে দল ভালো করবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ, মেহেদি মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপু।

ভারত একাদশ: শেখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, আম্বাতি রাইডু, দিনেশ কার্তিক, এমএস ধোনি, কেদাব যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার, জসপ্রিত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল।