মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নির্যাতিত সিলেটের ১৪ জনসহ মোট ৬১ বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০০০ (২০০২ সালের ৮ নং আইন) এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা সরকার এতদ্বারা Rules of Business 1996 এর schedule 1 (Allocation of Bangladesh) এর তা‌লিকা ৪১ এর ৫ নং ক্রমিকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জামুকার ৭০তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) গেজেট প্রকাশ করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পাওয়া সিলেটের ১৪ জনের ১৩ বীরাঙ্গনাই গোয়াইনঘাট উপজেলার। এছাড়া একজনের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায়।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩ বীরাঙ্গনা হলেন- বুধিগাঁও গ্রামের কছর আলীর মেয়ে জামিরুন নেছা, ব্রাহ্মণগ্রাম গ্রামের আব্দুল কাদিরের মেয়ে জয়নব বিবি, লেঙ্গুড়া গ্রামের ফুরকান আলীর মেয়ে জয়তুন বেগম, বাউরভাগ গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর মেয়ে হাজেরা বেগম, তিতিকুল্লি গ্রামের আব্দুস সোবাহানের মেয়ে খুদেজা, তিতিকুল্লি গ্রামের রবি খা’র মেয়ে রুকেয়া, আলমনগর (মুড়াবস্তি) গ্রামের আক্রম আলীর মেয়ে মমতা, গুরুকচি গ্রামের আব্বাছ আলীর মেয়ে আলিপজান, বুধিগাঁও গ্রামের রবি খানের মেয়ে রহিমা বেগম, বুধিগাঁও গ্রামের নেওয়াজ আলীর মেয়ে নবিরুন বেগম, পুকাশ গ্রামের বসন্ত চন্দর মেয়ে সিমন্তী রানী চন্দ, আলমনগর (মুড়াবস্তি) গ্রামের হযরত আলীর মেয়ে জোৎস্না বেগম, বুধিগাঁও হাওর গ্রামের রবি খানের মেয়ে আসমা বেগম।

এছাড়া মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মানগাঁও গ্রামের আব্দুল মনাফের স্ত্রী বেগম আছকিরুন নেছা।