বড়লেখায় সাড়ে ৩ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে বড়লেখা থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় শনিবার রাতেই জাবেদ আলী (১৭) নামের অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  জাবেদ উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের ৮ নম্বর কাশেমনগর গ্রামের আমির আলীর ছেলে।

রোববার ঘটনার কথা স্বীকার করে  বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (ম্যাজিস্ট্রেট) হরিদাস কুমারের খাস কামরায় ওই কিশোর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর ওই শিশুকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

পুলিশ ও শিশুটির পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) বিকেলে  শিশুটি জাবেদ আলীর বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। এসময় জাবেদের বাড়িতে কেউ ছিলেন না। সে কৌশলে শিশুটিকে ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুটির চিৎকার দেয়। চিৎকার শুনে শিশুটির মা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে শিশুটির বাবা ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে জাবেদ আলীকে আসামী করে থানায় মামলা করেন।

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) কৃষ্ণ মোহন দেবনাথ রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন। রোববার দুপুরে তাকে বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (ম্যাজিস্ট্রেট) হরিদাস কুমারের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে অভিযুক্ত কিশোর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) কৃষ্ণ মোহন দেবনাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রোববার সন্ধ্যায় বলেন, শিশুটির বাবা ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার সে বিজ্ঞ আদালতের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি শেষে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। শিশুটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

করোনায় আটকে আছে বিয়ানীবাজারের উন্নয়ন কাজ