বিয়ানীবাজারে লকডাউনের আগের দিন মঙ্গলবার ব্যাংক থেকে টাকা তোলার হিড়িক পড়েছে। গাদাগাদি করে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে টাকা উত্তোলন করছেন গ্রাহকরা। আর ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, রেমিট্যান্সের পাশাপাশি আমানতের মুনাফা, সেভিংস হিসাবের টাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন ভাতা তোলার চাপ বেড়েছে। সীমিত সময়ে গ্রাহকের বাড়তি চাপে ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থা। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যাংক কর্মীরাও।

চৈত্রের কাঠফাঁটা রোদে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ব্যাংকে প্রবেশের অপেক্ষায় গ্রাহকরা।

বুধবার থেকে কঠোর লকডাউনে যাবে পুরোদেশ। তার আগে ব্যাংকের শহর বিয়ানীবাজারে গ্রাহকদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কার আগে কে সারবেন প্রয়োজনীয় লেনদেন সেই প্রতিযোগিতায় উধাও স্বাস্থ্যবিধি। লকডাউন ও রমজানের কেনাকাটায় যাতে আর্থিক সংকটে পড়তে না হয় সেজন্য কেউ এসেছেন রেমিটেন্সে আসা টাকা তুলতে। কেউবা তুলছেন নিজের জমানো পুঁজি।

ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে টাকা জমা দেয়ার চেয়ে উত্তোলনের চাপ বেশি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ঈদকেন্দ্রিক লেনদেনের সাথে তুলনা করছেন তারা।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক শামীম আহমদ জানান, ঈদের চেয়েও বেশি মানুষ এসেছেন টাকা তুলতে। কারণ গ্রাহকরা মনে করছেন হয়ত সামনে বড় ধরনের লকডাউন আসতে পারে। সেই হিসেবে তারা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের কর্মকর্তা আব্দুল বাকী জানান, প্রবাসী অধ্যুষিত বিয়ানীবাজারে রেমিট্যান্স প্রবাহটা বেশি। কিন্তু লকডাউন,রমজান এসব বিবেচনায় অন্য যেকোন দিনের তুলনায় গ্রাহকদের চাপ বেশি।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে লকডাউনের আগে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যাংকিং লেনদেন করা যাবে। আর লেনদেন পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কাজের জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

বিয়ানীবাজারে ঘর নির্মাণের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রতিবন্ধি যুবকসহ আহত ৩