দেবীপক্ষের প্রত্যুষে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে আজ শুভ মহালয়ায় দেবীকে আবাহন করলো বিয়ানীবাজারের সনাতন ধর্মবলম্বীরা। মহালয়া দুর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ঐ দিন থেকে দেবীপক্ষের শুরু। দেবীর আরাধনা সূচিত হয় মহালয়া উদযাপনের মাধ্যমে। মূলত দুর্গাপূজার ক্ষণ গণনাও শুরু এদিন থেকেই। মহালয়ার সাত দিন পর আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে। মূলত মহালয়া থেকেই মর্ত্যলোকে ঘটে দেবী দুর্গার আগমনধ্বনি। প্রসিদ্ধ পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার নৌকায় চড়ে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) আসবেন। যার ফল হচ্ছে শস্য বৃদ্ধি ও জল বৃদ্ধি। আর বিদায় নেবেন ঘোটকে (ঘোড়ায়) চড়ে। যার ফল হচ্ছে ছত্রভঙ্গ।

শুভ মহালয়া উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার উদ্যোগে সকাল ৭টায় পৌরশহরের পোষ্ট অফিস রোডের সার্বজনীন পুজা মন্ডপ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে কালাচাঁদ মিলন মন্দির প্রদক্ষিণ করে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে সমাপ্ত হয়। পূজা পরিষদ বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার সভাপতি সুজিত চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অরুনাভ পাল চৌধুরী মোহনের উপস্থাপনায় শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ মিশনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র আব্দুস শুকুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূজা পরিষদ বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি শংকর দেব, সাধন দত্ত, বিয়ানীবাজার আদর্শ মহিলা কলেজের প্রভাষক প্রিয়তোষ চক্রবর্তী, মাথিউরা দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ দাস, ছাত্র-যুব ঐক্য পরিষদ বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি সাগর দাশ চোধুরী, পুজা পরিষদ বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার যুগ্ন-সম্পাদক সজীব ভট্টাচার্য্য, ছাত্র-যুব ঐক্য পরিষদ বিয়ানীবাজার পৌর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজিত কর। মহালয়ার উপর বক্তব্য রাখেন অনির্বান পাল চৌধুরী। সভা শেষে ধর্মীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।