বিয়ানীবাজারে সোনাই নদী বেষ্টিত লাউতা ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে কানলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের চাল। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টিতে একটি আধাপাকা চৌচালা ঘরে তিনটি শ্রেণি কক্ষ ও একটি অফিস কক্ষ রয়েছে। রবিবার বিকেলে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের পর যা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঝড়ে বিদ্যালয়ের বারান্দাসহ শ্রেণীকক্ষের টিনের চাল উড়ে গিয়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। তাছাড়া বিদ্যালয়টি নদী তীরবর্তী হওয়ায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে তা আবারও ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে। এদিকে, কালবৈশাখী ঝড়ে তান্ডবে বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বিদ্যালয়ের ১৫০জন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ের টিনের চাল উড়ে গেছে। ক্লাসের ভিতরের সব টেবিল-চেয়ার, বেঞ্চ লণ্ডভন্ড হয়ে গেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী কালবৈশাখীর তাণ্ডবের হাত থেকে রক্ষার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাসুক আহমদ জানান, রবিবার বিকেলে বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কালবৈশাখী ঝড়ে্র তাণ্ডবে স্কুলের বারান্দা ও প্রধান শিক্ষককের কক্ষের টিনের চাল উড়ে গিয়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। তবে এসময় বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কক্ষে অবস্থান করলেও কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়টি বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ থেকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে অবগত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুম মিয়া জানান, ঝড়ে বিদ্যালয়ের টিনের চাল উড়ে যাওয়ায় সেখানে পাঠদান কার্যক্রমে সাময়িকভাবে সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যালয়টির মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদফতরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জরুরি বরাদ্দ পেলে বিদ্যালয়টির মেরামত করে দ্রুত পাঠদান স্বাভাবিক করতে পারবো বলে আশা করছি।