বাগেরহাট শহরের মুক্তি ক্লিনিকের সামনে একা একা ঘুরছিল সাত বছর বয়সী শিশু মীম। বুধবার (১৩ অক্টোবর) দীর্ঘ সময় ধরে তাকে এভাবে ঘুরতে দেখে স্থানীয়রা তার পরিচয় জানতে চায়। কিন্তু সে শুধু তার নাম মীম এবং বাড়ি সিলেট এই দুটি শব্দ স্পষ্টভাবে বলতে পারে।

বাবা-মা বা অন্য অভিভাবকদের নাম জানতে চাইলে শুধু বলে শারমিন। কেউ কোনো কথা বললে তাকে বলে আমি বাড়ি যামু। এ অবস্থায় বুধবার রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে স্থানীয়রা। পরে বাগেরহাট শহরের মুক্তি ক্লিনিকের সামনে থেকে মীমকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে পুলিশও বিভিন্নভাবে খুঁজছে মীমের অভিভাবকদের। কিন্তু একদিন অতিবাহিত হলেও অভিভাবকদের খোঁজ না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে সমাজ সেবা অধিদপ্তর, বাগেরহাটের প্রবেশন অফিসার সোহেলে পারভেজের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করে বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ।

পরবর্তীতে মীমকে বাগেরহাট সরকারি শিশু পরিবারে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির অভিভাবকদের খুঁজে পেতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম।

শিশু মীমের গায়ের রং কালো। তার পরনে কালো-হলুদ ও সাদা রং মিশ্রিত একটি জামা রয়েছে। তার কাছে একটি ব্যাগও রয়েছে।

সমাজ সেবা অধিদপ্তর, বাগেরহাটের প্রবেশন অফিসার সোহেল পারভেজ বলেন, পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা শিশুটির অভিভাবকদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আপাতত তাকে শহরের দশানী এলাকায় অবস্থিত সরকারি শিশু পরিবারে রাখা হয়েছে। সেখানেই তার খাবার-কাপড়সহ সব ধরনের ব্যবস্থা করা হবে। তার অভিভাবকদের খুঁজে পেতে আমরা সব ধরনের চেষ্টা করছি এবং অভিভাবকদের খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত মীম সরকারি শিশু পরিবারেই থাকবে বলে জানান তিনি।