বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নবাগত পাপুয়া নিউগিনিকে নিয়ে এক রকম ছেলেখেলাই খেলল বাংলাদেশ। সাকিব-সাইফউদ্দিনের বোলিং তোপের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে মাঠ ছাড়তে হয় পাপুয়া নিউগিনিকে।

বাংলাদেশের করা সাত উইকেটে ১৮১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯৭ রানে গুটিয়ে যায় পিএনজির ইনিংস। সে সুবাদে মাহমুদুল্লাহ বাহিনী পায় ৮৪ রানের বড় জয়। একই সঙ্গে নিশ্চিত করে সুপার টুয়েলভের টিকিট।

টি-টোয়েন্টিতে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডকে ৭১ রানে হারায় টাইগাররা। পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পিএনজির শিবিরে আঘাত হানেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও তাসকিন আহমেদ। এই দুই পেইসারের পেইস তোপে দলীয় ১১ রানেই ফেরেন পিএনজির দুই ওপেনার।

সেই ধাক্কা কাটতে না কাটতেই শুরু হয় সাকিব আল হাসানের তাণ্ডব। একাই চার উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দেন পিএনজি ব্যাটিং লাইনআপ। দুর্দান্ত বোলিং করে সাকিব ছুঁয়ে ফেলেন সাবেক পাকিস্তানি স্পিনার শাহিদ আফ্রিদির বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ডকে।

টাইগার বোলারদের বোলিং তোপের সামনে একে একে অসহায় আত্মসমর্পণ করে ফিরে যেতে হয় পিএনজির ব্যাটারদের। শেষতক ৯৭ রানেই থেমে যায় তাদের রানের চাকা। আর বাংলাদেশ পায় ৮৪ রানের বড় জয়।

বাংলাদেশের হয়ে ৯ রানের খরচায় চার উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। সাইফউদ্দিন ও তাসকিন নেন দুটি করে উইকেট। আর একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন তাসকিন আহমেদ ও মাহেদী হাসান। তবে এই ম্যাচে বেশ খরুচে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। চার ওভারের স্পেলে দিয়েছেন ৩৪ রান। থেকেছেন উইকেট শূন্য।

এর আগে, ওমানের এমিরেতস স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই রানের খাতা খোলার আগে সাঁজঘরে ফেরেন আগের ম্যাচে দুর্দান্ত অর্ধশতক হাঁকানো নাঈম শেখ।

আগের দুই ম্যাচে নিষ্প্রভ থাকা লিটন দাস পিএনজির বিপক্ষে শুরু থেকে জ্বলে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। দুর্দান্ত ভাবে তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন সাকিব আল হাসানও। দুই জনের ৫০ রানের জুটিতে খেই হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ ফিরে আসে ম্যাচে। ২৩ বলে ২৯ রানে লিটনের বিদায়ে ভাঙ্গে সেই জুটি। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানোর আগে আউট হন মুশফিকুর রহিম।

আসাদ ভালার করা ১৪তম ওভারে আগ্রাসী হতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে আসলেন সাকিব আল হাসান। ভালার ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকানোর দুই বল পর আবার মারতে গিয়ে আউট হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ৩৭ বলে ৪৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ২৭ বলে ৫০ রানের টর্নেডো ইনিংসের কল্যাণে বড় সংগ্রহের দিকে যেতে থাকে বাংলাদেশ। ২৮ বলে ৫০ করে রিয়াদ বিদায় নেয়ার পর বড় শট খেলতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে ফিরতে হয় আফিফ হোসেনকে।

ইনিংসের শেষ ওভারে দুই ছক্কায় ২০ রান তুলে নিয়ে বাংলাদেশের স্কোর ১৮০ পেরুতে সাহায্য করেন সাইফউদ্দিন। ৬ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংগ্রহ। এর আগে, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে দুই উইকেটে ১৮০ রান করে টাইগাররা।