অভাবের তাড়নায় অন্ধত্ব রেহান (৪৮) কে বাস্তবতা নামক জীবন যুদ্ধে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তার ডান চোখটি একেবারেই অন্ধ, তবে বামের চোখে সামান্য দেখতে পেলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়েও পরিবার-পরিজনদের মুখে হাসি ফোঁটাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

রেহানের বাড়ি জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের মাইজগ্রামে। সে একই গ্রামের আখই মিয়ার পুত্র। অভাবের সংসারে রেহানকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও নামতে হয়েছে কঠোর পরিশ্রমে।

পরিবারে স্ত্রী, তিন ছেলে-মেয়ে, মাতা-পিতাসহ মোট ৭ জনের সংসার তার। ছেলেমেয়েরা স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে পড়াশুনা করলেও ওদের খাতা-কলম, পরীক্ষা ফি ও প্রয়োজনীয় খরচ যোগাতে তাকে দারস্থ হতে হয় অন্যের উপর। জীবন সংগ্রামের অনেক সময়ই অনাহারে- অর্ধাহারে চলছে তার জীবনযাপন।

রেহান জানায়, আমি চোখে পুরোপুরি দেখতে না পারার কারনে অনেকে আমার ভ্যানে কোনো মালামাল উঠাতে চায়না। ফলে আমাকে প্রায়ই ভ্যান না চালিয়ে থাকতে হয়। এ পর্যন্ত সামান্য সরকারি পঙ্গু ভাতা ছাড়া আর কোনো সাহায্যই পায়নি। একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে থৈ থৈ করে আমার একমাত্র সম্বল বসত ঘরটিও।

এদিকে, সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনকে তার এই দুঃখ-দূর্দশা দেখে এগিয়ে আসবেন এটাই প্রত্যাশা করছেন রেহান।

তথ্য সংগ্রহ- এখলাছুর রহমান’র ফেইসবুক টাইমলাইন (সহ সভাপতি, জকিগঞ্জ প্রেসক্লাব)।