তৃণমূলের দাবি উপেক্ষা করে বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষ হয়েছে! তৃণমূলের নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পুলিশি প্রহরায় সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেছেন কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে সম্মেলনের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদের নেতৃত্ব নির্ধারণে কেন্দ্র ও জেলার নেতারা সমঝোতার প্রস্তাব দিলে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন উপজেলার কাউন্সিলররা। জেলা ও কেন্দ্রের নেতাদের দাবি বয়কট করে ভোট আয়োজনের জন্য মুর্হুমুহু শ্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূলের নেতাকর্মী। এ নিয়ে সম্মেলনস্থলে তুমুল বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পরিবেশ সামলে নিতে কেন্দ্র এবং জেলার একাধিক নেতা মাইকে এসে বক্তব্য দিতে থাকেন। তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারণের দাবিতে অনড় থাকেন কাউন্সিলররা। তাদের তোপের মুখে পড়েন কেন্দ্র এবং জেলার নেতারা। পরে পুলিশি প্রহরায় সম্মেলনস্থল কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসেন নেতারা। এসময় স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছে নাজেহাল হতে হয়েছে।

বুধবার রাত আটটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে তৃনমূল নেতাকর্মী এবং কাউন্সিলররা বিক্ষোভ করছিলেন।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা সব উপজেলাতেই সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিচ্ছি। গোলাপগঞ্জে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারণে আমাদের প্রস্তুতি ছিল না। নতুন নেতৃত্ব কিভাবে নির্ধারিত হবে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি প্রতিবেদককে জানান, সিলেটে গিয়ে কেন্দ্র এবং জেলার নেতারা বৈঠক করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

বুধবার অনুষ্ঠিত সম্মেলনে কেন্দ্রীয় এবং জেলা নেতৃবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন, এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও  সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপিত অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।

সৌজন্যে- সিলেট ভিউ২৪।