গোলাপগঞ্জে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এলাকাজুড়ে তোলপাড় চলছে। এর সুরাহা চেয়ে ইউএনও বরাবর উপজেলার বাঘা ইউপির গৌরাবাড়ী এলাকার ৪৩ সদস্য স্বাক্ষরিত আবেদন করা হয়। আবেদনে তারা উপজেলার বাঘা ইউপির দক্ষিণ বাঘা গ্রামের বাসিন্দা ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের মাঠ সহকারীর বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও বিষয়টি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রকল্পের উপ- সমন্বয়কারীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের’ সদস্যরা আবেদনে জানান, ২০১২ সাল থেকে তারা এ প্রকল্পের সদস্য। সদস্য হওয়ার পর থেকে আজ অবধি তাদের চার লাখ টাকা সঞ্চয় হওয়ার কথা। কিন্তু সমিতি প্রদত্ত পাস বইয়ে টাকার হিসাবে গরমিল এবং বইয়ের পাতা ছেঁড়া দেখতে পেয়ে মাঠ সহকারী সত্যরঞ্জন বিশ্বাসকে তা অবহিত করেন। সত্যরঞ্জন বিশ্বাস এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বললে তারা হতাশ হয়ে পড়েন। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আপস নিষ্পত্তির চেষ্টা করেন বলে তারা জানান। স্থানীয় মুরুব্বি হরিপদ দেব ও আর্জমন্দ আলী মাস দুয়েক আগে গৌরাবাড়ী এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিষয়টি নিয়ে বসলে প্রকল্পের সদস্যরা ও মাঠ সহকারী সত্যরঞ্জন বিশ্বাসের জবানবন্দির একপর্যায়ে মাঠ সহকারী তার অপরাধ স্বীকার করে কিস্তিতে টাকা পরিশোধের প্রস্তাব দেন। কিন্তু কিস্তি পরিশোধে বিলম্ব হওয়ায় কিংবা সঞ্চয়কৃত টাকা উদ্ধার না হওয়ায় অতিদরিদ্র দিনমজুর সদস্যরা নিরুপায় হয়ে অবশেষে ইউএনওর হস্তক্ষেপ কামনা করে আবেদন করেন।

এদিকে, মাঠ সহকারী সত্যরঞ্জন বিশ্বাস তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের উপজেলা উপ-সমন্বয়কারী সেলিম আহমদ বলেন, বাঘা গৌরাবাড়ী এলাকার প্রকল্পের সদস্যরা এ বিষয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করেছেন। আগামী সপ্তাহে এ ব্যাপারে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।

সূত্র: সমকাল