কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে সীমান্ত এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিয়ানীবাজার উপজেলায় গরু আসতে শুরু করেছে। ঈদকে সামনে রেখে তাই অধিক মুনাফা লাভের আশায় গরু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছেন খামারি ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। দেশি খাবারের ওপর নির্ভর করে পশু কোরবানির উপযুক্ত করে তৈরির কাজ করছেন তারা। সম্প্রতি টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যার কারণে গো-খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করছেন তারা। খামারি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, গতবার লোকসান হওয়ায় আর লাভ কম হওয়ায় এবার খামারে গরু পালন কমেছে।

জানা যায়, কোরবানির পশু নিয়ে দুশ্চিন্তা না থাকলেও পশুখাদ্য নিয়ে চরম সংকটে পড়েছেন বন্যাকবলিত এলাকার খামারি ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। বন্যার কারণে চারণভূমি, অনাবাদি জমি ও চাষের ঘাস নষ্ট হয়ে যাওয়ায় শুকনো খাদ্যের ওপর নির্ভর করতে হতে হচ্ছে। অন্যদিকে, বাজারে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোরবানির পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

আলাপকালে খামারিরা এ প্রতিবেদককে জানান, ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন খামারিরা। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস ও খড়ের পাশাপাশি খৈল গুড়া, ভূষি খাওয়ানো হচ্ছে। সম্প্রতি টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যার কারনে গো-খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করছেন খামারিরা। তাছাড়া জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং গতবার লাভ কিছুটা কম হাওয়ায় এবার খামারে গরু পালন কমেছে। ভারতীয় গরু না এলে এবার দেশি গরু বিক্রি করে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন বলেও জানান খামারিরা।

মাথিউরা পশ্চিমপার এলাকার এলাকার খামারি ছালেহ উদ্দিন জানান, গরু মোটাতাজা করতে আমরা কোনো প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবার ব্যবহার করছি না। স্বাভাবিক যে খাবার সেটা ব্যবহার করি। দেশি কাঁচা ঘাস, খড়, ভূষি ইত্যাদি প্রধান খাদ্য হিসেবে গরুকে খাওয়ানো হয়। তিনি বলেন, এবার আমাদের খামারে ১৭টি গরু আছে। ভারতীয় গরু না এলে কোরবানির ঈদবাজারে ভালো দাম পাব। গত বছরের তুলনায় এবার বেশি লাভ হবে।

মৌসুমি ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ জানান, মৌসুমি খামারিদের পাশাপাশি অনেক কৃষক পরিবারও গরু মোটাতাজা করেছ। গো-খাদ্য সংকট ও দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে গরুতে লাভ কিছুটা কমে গেছে। এবছর কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ৫০টি গরু মোটাতাজা করছি। আশা করি এবারো ভালো দাম পাব।