বিয়ানীবাজারে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থতার হার বাড়ছে। প্রথমদিকে করোনা রোগীর সেরে উঠার হার কম থাকলেও এখন সংক্রমিতরা দ্রুত সেরে উঠছেন। মঙ্গলবার নতুন করে এ উপজেলা করোনা জয় করেছেন ২১জন। এ নিয়ে উপজেলায় সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯৮জনে, যা মোট আক্রান্তের ৭৮.৪২ শতাংশ। সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের দিক থেকে রোগীদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া, সার্বক্ষণিক ফলোআপ করা, আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশের জটিল কোনো উপসর্গ না থাকা করোনা রোগীরা দ্রুত সেরে উঠছেন বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার নতুন করে আরও ২১জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। তবে আগামী আরও ৭ দিন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে হবে। নতুন সুস্থ হওয়া রোগীরা হচ্ছেন- মোঃ শামসুদ্দিন (৩৬), হাজী জমির উদ্দিন (৭৮), মোঃ ফয়েজ উদ্দিন (৩৩), মিসেস শামসুন্নাহার (৫৫), সালেহা খাতুন (৯০), পারভীন বেগম (৪০), শাহীনা বেগম (২৮), শাফিয়া বেগম (৫০), আলেয়া খাতুন (৭৫) জিয়াউল হক (২৭), মাহবুব হাসান (৩৬), এনামুল হক (৫১), মিসেস ফিরুজা বেগম (৫৪), মইজ উদ্দিন (৫৫), মোঃ সাব উদ্দিন (৩৫), সেলিনা বেগম (৩০), আব্দুল্লাহ আহমেদ (৩০), তুষার ভট্টাচার্য (৪৮), সীমা চক্রবর্ত্তী (৪০), শ্রাবণ ভট্টাচার্য (১৭) ও তৃষিকা ভট্টাচার্য (০৪)।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল টাঙ্গাইল ফেরত এক জুয়েলার্স কারিগরের শরীরে বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রথম করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এ উপজেলা এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ৩৮০জন। সংক্রমিতদের মধ্যে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ২৯৮ জন। এ পর্যন্ত উপজেলায় কোভিড–১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯ জন। বর্তমানে এ উপজেলায় ৬৩জন সংক্রমিত রোগী হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবু ইসহাক আজাদ বলেন, করোনায় আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীর মধ্যে দেখা দেওয়া লক্ষণগুলো মৃদু। ফলে তাঁরা দ্রুত সেরে উঠছেন। শুরুতে করোনা রোগীর সেরে ওঠার হার কম থাকলেও এখন দ্রুত সেরে ওঠার হার বাড়ছে। তিনি বলেন, করোনা রোগীরা মনোবল দৃঢ় করে নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ হয়ে উঠবেন। আক্রান্তদের জটিল কোনো উপসর্গ দেখা না দেয়ায় হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। ডা. আবু ইসহাক আজাদ আরও বলেন, সার্বিক অবস্থা খারাপই। আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু দুটোই বাড়ছে। কিন্তু জনগণের মধ্যে করোনাভাইরাস সম্পর্কে কোনো সচেতনতা নেই। অথচ করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।