দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল)। কোপা আমেরিকায় কনমেবলকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে মন্তব্য করায় এই শাস্তি পেলেন তিনি।

বিবিসি জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মেসিকে ৫০ হাজার ডলারা জরিমানাও করেছে কনমেবল।

নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ দেখিয়ে এই পদক্ষেপ নিয়েছে কনমেবল। কনমেবলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন মেসি। সেজন্য তার হাতে রয়েছে সাত দিন।

এদিকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে আগামী তিন মাসে চিলি, মেক্সিকো, জার্মানির সঙ্গে আর্জেন্টিনার প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারবেন না মেসি।

উল্লেখ্য, গত মাসে কোপা আমেরিকার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় চিলির বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে গারি মেদেলের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে ‘বিতর্কিতভাবে’ লালকার্ড দেখেন লিওনেল মেসি। এ ম্যাচে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে জেতার পর পদক নিতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যাননি মেসি। পরে আয়োজক ও রেফারিরা ব্রাজিলকে শিরোপা জেতাতে ‘দুর্নীতি করেছে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কনমেবল তখন বলেছিল, মেসির মন্তব্যগুলো মেনে নেওয়া যায় না। তবে তারা পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলারকে কঠিন শাস্তি দেয়নি।

কনমেবলের এ শাস্তি নিয়ে মেসি কিংবা আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) কেউ কোনো মন্তব্য করেনি। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ শেষে পদক নিতে মঞ্চেও যাননি মেসি। পরে বলেছিলেন, ‘পদক নিতে যাইনি। কারণ আমাদের যে অসম্মান করা হয়েছে, সেটি মেনে নিতে পারিনি। তা ছাড়া এই দুর্নীতির অংশ হতে চাই না।’ কনমেবলের উদ্দেশে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আরও বলেছিলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই সবকিছু ব্রাজিলের পক্ষে পাতানো। আমাদের ফাইনালে যেতে দেওয়া হয়নি। দুর্নীতি ও রেফারির জন্য মানুষ ফুটবল উপভোগ করতে পারছে না।’