সফল অস্ত্রপচার শেষে সাকেরের সুস্থ হয়ে উঠলেও তার মাথার খুলি সে সময় প্রতিস্থাপন করা হয়নি। অবশেষে হামলায় আহত হওয়ার প্রায় তিনমাস পর স্কয়ার হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা খুলি রবিবার দুপুরে স্থাপন করা হয়েছে। গত ৫ এপ্রিল ফুটবল খেলা দেখতে এসে সাকের দুই দৃর্বত্তদের হামলায় আহত হয়।

সাকেরের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ভারতীয় নিউরোসার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কৃষ্ণপ্রভু জানান, সাকেরের সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। সে এখন পুরাপুরি শংকা মুক্ত। তবে তাকে দীর্ঘদিন বিশ্রামে থাকতে হবে।

সাকেরের পরিবার জানান, এবার ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরলে আইনি বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। ইতিমধ্যে মাথিউরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিহাব উদ্দিন গণম্যাধমে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেন, ‘সাকেরের উপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি। যদি কোন বিশেষ কারণে আইনি প্রক্রিয়া হস্তক্ষেপ করা হয় তাহলে সাকেরের হামলাকারি শাস্তি প্রত্যাশাকারিদের এবং ইউনিয়নবাসীকে নিয়ে আন্দোলন যাবো।’ এদিকে রাশিয়ায় অবস্থানরত বাফুফের নির্বাহী সদস্য বিয়ানীবাজারের সন্তান মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম সাকেরের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। বর্তমানে অপারেশনসহ পরবর্তী চিকিৎসা বাবত ব্যয়ের বিষয়টি দেখভাল করছেন সাকেরের পারিবারিক স্বজনরা।

উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল বিয়ানীবাজারের পিএইচজি সরকারি হাই স্কুল মাঠে ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে পঞ্চখণ্ড পাবলিক লাইব্রেরির ৩তলার ছাদ থেকে দৃর্বত্তদের হামলার শিকার হন সাকেরঅ এ সময় টানা ২৪দিন উন্নত চিকিৎসা শেষে গত ২৯ এপ্রিল বাড়ি ফিরেন।  সে সময় চিকিৎসা বাবত ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন মাথিউরার কৃতিসন্তান মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম। ২দফা অস্ত্রাপচারের পরপর স্কয়ার হসপিটালে সাকেরকে দেখতে যান বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান। এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন ঢাকার তরুণ ব্যবসায়ী বিয়ানীবাজারের সন্তান জাবিল আনোয়ার।