করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে প্রায় সারা দেশকেই লকডাউন (অবরুদ্ধ) অবস্থায় রাখা হয়েছিল। তবে গেল ৩০ মে থেকে সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হয় সবকিছু। এর মধ্যে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় এবার জোনভিত্তিক কার্যক্রম শুরু করছে সরকার। এ পদক্ষেপের আওতায় সিলেট জেলাকে রেড, গ্রিন ও ইয়েলো বা লাল, সবুজ ও হলুদ রঙের জোনে ভাগ করা হয়েছে।

আজ রবিবার সারাদিন কাজ করে এ জোন ভাগ করেছে সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয়। এর মধ্যে সিংহভাগ এলাকাই রেড জোনের আওতায় পড়েছে বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল।

তিনি বলেন, ‘আজ রবিবার সারাদিনে সিলেটের প্রত্যেক উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়ন পর্যন্ত এবং সিলেট মহানগরীর প্রত্যেক ওয়ার্ড পর্যন্ত রেড, গ্রিন ও ইয়েলো জোনে ভাগ করা হয়েছে। আগামীকাল জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে জোনগুলো অনুমোদন হবে। পরশুদিন মাল্টিসেক্টরাল সভায় এটি প্রকাশ করা হবে।’

প্রেমানন্দ মন্ডল জানান, মাল্টিসেক্টরাল সভায় প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই উপস্থিত থাকবেন। রেড, গ্রিন ও ইয়েলো জোন কিভাবে কার্যকর করা হবে, সেখানে তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সিভিল সার্জন জানান, সিলেট মহানগরীতে রেড জোনই বেশি। আর উপজেলা পর্যায়ে রেড ও গ্রিন জোন বেশি। কিছু এলাকা আছে ইয়েলো জোনে।

প্রসঙ্গত, যেসব এলাকায় করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেশি, সেসব এলাকাকে রেড জোনের আওতায় আনা হচ্ছে। এর চেয়ে কিছুটা কম সংক্রমণ অবস্থার এলাকাকে রাখা হচ্ছে গ্রিন জোনে। আর সংক্রমণের হার কম এলাকাকে ইয়েলো জোনে ভাগ করা হচ্ছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রেড জোনে কঠোর কড়াকড়ি থাকবে। এ জোনের কেউ বাইরে যেতে বা বাইরে থেকে কেউ এ জোনের ভেতরে যেতে পারবে না। এ জোনের দোকানপাট, বিপণিবিতান, সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় সব বন্ধ থাকবে। এমনকি এ জোনে ঘরে বসে নামাজ আদায় করতে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

সংবাদ সৌজন্য- সিলেটভিউ২৪।

বিয়ানীবাজার হাসপাতালে টেস্টিং বুথ স্থাপন করলেন সরওয়ার