ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেটের চার উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। বুধবার সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

উপজেলাগুলো হলো সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, সদর, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ। এই চার উপজেলায় লড়ছেন মোট ৫৮ জন প্রার্থী।

এরআগে, গতরাতে নির্বাচনী সরঞ্জাম চার উপজেলার ৩০২টি ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হয়। ভোরে পৌছে ব্যালট।

এদিকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ করতে প্রস্তুত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবির পর্যাপ্তসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা।

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেকোনো অনাকাংখিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে পুলিশ, র‍্যাব, আনসার ও বিজিবি। এছাড়াও গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি সাইবার নজরদারিও শুরু করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের কার্যালয় থেকে দেয়া তথ্য মতে, সিলেটের চার উপজেলায় ৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি উপজেলায় দুই প্লাটুন বিজিবির পাশাপাশি র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার ভিডিপির স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করবে। কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ১৩ জন বা ততোধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য আজ থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করছেন। তাদের মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) ও দু’জন সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি)-এর নেতৃত্বে ছয়জন পুরুষ ও চারজন মহিলা আনসার-ভিডিপি সদস্য রয়েছেন।

সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছেন পুলিশ। গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি করে মোবাইল টিম সক্রিয় রয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি থানায় পুলিশ ও সশস্ত্র আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্যদের স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখা হয়েছে। থানা এলাকায় র‍্যাব ও বিজিবি টহল দিচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী তারা অপারেশনে যাবে।