করোনাকালে মাক্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ এ ধরনের সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার হঠাং করে বেড়ে যাওয়াতে পন্যেগুলোর চাহিদা ও দাম বৃদ্ধি পায় অস্বাভাবিক হারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব সুরক্ষা সামগ্রীগুলোর উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ায় সারা দেশে এসবের দাম স্বাভাবিক হারে নেমে আসলেও বিয়ানীবাজারের চিত্র ভিন্ন।

বিয়ানীবাজার পৌরশহরের বেশিভাগ ফার্মেসীতে এখনও মুখের সার্জিক্যাল মাক্স বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা দামে। এ ছাড়া অনেকে ফার্মেসী ও দোকানের বিরুদ্ধে মানহীন মাক্স বিক্রির অভিযোগ থাকলেও এ বিষয়ে কোন নজরদারি না থাকায় প্রতিনিয়তই প্রতারিত হচ্ছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাক্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ জীবাণুনাশক এসব পন্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। পূর্বের ন্যায় এসব পন্যের দাম থাকলেও খুচরা বাজারে এসব পন্য বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এছাড়াও বিভিন্ন ফার্মেসী ও স্টেশনারি দোকানগুলোতে নকল ও অনুমোদনহীন কোম্পানির সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে অবাধে। যেগুলো আসলেও জীবানু ধংস কিংবা সুরক্ষায় মোটেই কার্যকর নয়। ফলে এসব পন্য ব্যবহার করে অজান্তেই ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন উপজেলারবাসী।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিয়ানীবাজার পৌরশহরের এক ওষুধ দোকানের মালিক জানান, শুরুতে মাক্সসহ অনান্য সুরক্ষাসামগ্রীর সরবরাহ না থাকায় যাদের আগের মজুদ ছিলো তারা বেশি দামে বিক্রি করেছে। পরে ধীরে ধীরে সরবরাহ বাড়াতে দাম কমলেও ব্যবসায়ীরা আগের দামই বিক্রি করে আসছেন তারা। তিনি জানান, একটি মাক্সের পাইকারী কেনা দাম সাড়ে তিন থেকে ৪ টাকার মধ্যে পড়লেও খুচরা বিক্রি করছেন ২০ টাকাই। তবে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম বোতলের গায়ে লেখা খুচরা দামে বিক্রি করছেন।

পৌরশহরের বিপনী বিতানের কর্মচারী জুয়েল আহমদ বলেন, বেশ কয়েকদিন থেকে দৈনিক ২০ টাকা করে মাক্স কিনে ব্যবহার করছি। এগুলোর দামও কমছে না আর এখন ব্যবহার করাও বন্ধ করে দিয়েছি। এসময় উপহাসের সুরে তিনি বলেন, ‘ডেইলী বিশ/ত্রিশ টাকা কুয়ানির (ব্যয়) চেয়ে করোনা হওয়াও ভালা (ভালো)।’

এদিকে, পৌরশহরসহ উপজেলাজুড়ে নকল সুরক্ষা সামগ্রীতে সয়লাভ ও চড়া দামে বিক্রি করলেও এই বিষয়ে প্রশাসনের কোন তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

করোনা- বিয়ানীবাজারে একই পরিবারের ৮জনসহ ১৩ পজিটিভ