পাকিস্তানের ক্রিকেট মানেই দুর্নীতি-অনিয়ম-মাদক-নারী আর ফিক্সিং। এসব অপকর্মে জড়িত শীর্ষ তারকা থেকে শুরু করে ঘরোয়া লিগ খেলা ক্রিকেটাররা পর্যন্ত। এবার ম্যাচ ফিক্সিং ইস্যুতে শিরোনাম হলেন উমর আকমল। সেটাও আবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ফিক্সিং! পাকিস্তানের এই তারকা ব্যাটসম্যানের কাছে নাকি ২০১৫ বিশ্বকাপে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব এসেছিল। এই তথ্য ফাঁস করে এখন বড় শাস্তির মুখে পড়ে গেলেন এই তারকা।

অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে মুখোমুখি হয়েছিল এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। পাকিস্তানকে ৭৬ রানে হারিয়েছিল ভারত। ওই ম্যাচে ডাক মেরেছিলেন আকমল। এর আগেই নাকি তার কাছে ম্যাচটি পাতানোর প্রস্তাব এসেছিল! সম্প্রতি পাকিস্তানের সামা টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এই বোমা ফাটিয়েছেন আকমল।

তিনি বলেছেন, ‘দুটি বল ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে ওরা আমাকে ২ লাখ ডলার দিতে চেয়েছিল। এটা ছিল ভারতের বিপক্ষে ২০১৫ বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম ম্যাচ। গেও এমন অনেক প্রস্তাব পেয়েছি। ভারতের বিপক্ষে যখনই আমরা খেলতাম, তখনই কোনো না প্রস্তাব আসত। কিন্তু আমি বলেছিলাম, পাকিস্তান আমার দেশ। ভবিষ্যতে যেন কখনো এ ধরনের কোনো প্রস্তাব না আসে।’

এই ‘সততা’র বাণী শুনিয়ে এখন উল্টো বিপদে পড়ে গেছেন আকমল। কারণ, আইসিসির নিয়মানুযায়ী ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডকে জানাতে হবে। কেউ রিপোর্ট করতে ব্যর্থ হলেও তাঁকে বড় শাস্তি পেতে হয়। অথচ উমর ঘটনাটি বলছেন ৩ বছর পরে এসে! স্বাভাবিকভাবেই আকমলকে জরুরি তলব করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ২৭ জুন লাহোরে বোর্ডের দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের কাছে এসে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।