জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কূটক্তির অভিযোগ এনে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় কাতার বিএনপি’র এক নেতাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে।

মামলায় উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের নিজবাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুল নূরের ছেলে এবাদুর রহমান বাপ্পিকে (২৫) ১ নম্বর, সুজানগর ইউনিয়নের বড়থল গ্রামের আব্দুল মালিকের ছেলে রুমেল আহমদকে (২২) ২ নম্বর এবং একই ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে কাতার বিএনপি’র সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল হক সাজুকে (৪০) ৩ নম্বর আসামী করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ আগস্ট) বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ছালেহ আহমদ জুয়েল বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন।

সোমবার (২০ আগস্ট) বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমিতাভ দাস তালুকদার মামলার বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১ নম্বর আসামী এবাদুর রহমান বাপ্পি গত ৩০ জুলাই সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চলাকালে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, বর্তমান সরকার ও বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমকে জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে আইডিতে উস্কানিমূলক মন্তব্য শেয়ার করেন। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কূটক্তির অভিযোগও করা হয়েছে।

একইভাবে মামলার ২ নম্বর আসামী রুমেল আহমদ গত ২৯ জুলাই তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে আইডিতে এবং ৩ নম্বর আসামী কাতার বিএনপি’র সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল হক সাজু গত ৩১ জুলাই তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে আইডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দেবদুলাল ধর বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কূটক্তিসহ তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করা হয়েছে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।’