বিয়ানীবাজার উপজেলার পূর্ব মুড়িয়ায় প্রথম বারের মতো গড়ে উঠেছে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জেলা প্রশাসক (বৃহত্তর ময়মনসিংহ), স্বাধীনতা পদক (মরণোত্তর) প্রাপ্ত, এ জনপদের কৃতি সন্তান, গল্পাকার, প্রাবন্ধিক, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত ড. খসরুজ্জামান চৌধুরীর নামে স্মৃতি পাঠাগার৷ পাঠাগারের পক্ষ থেকে সংবর্ধিত করা হয় সাহিত্যপ্রেমিক ও যুক্তরাষ্ট্র কমিউনিটি নেতা ময়নূজ্জামান চৌধুরীকে। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩ টায় পাঠাগার মিলনায়তনে তাঁকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

পূর্ব মুড়িয়া হিফজুল কোরআন দাখিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাও. ফয়েজ আহমদের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক মাহফুজুর রহমানের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ফয়ছল আহমদ, গীতিকবি বিদ্যুৎ রঞ্জন দেবনাথ, শিক্ষক শামছুল ইসলাম, আলম আলম, আব্দুল হাসিব প্রমুখ।

প্রয়াত এ কৃতি সন্তানের ভাতিজা ময়নূজ্জামান চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় ও ভাতিজা সাহিত্যকর্মী মাহবুবুল আলম চৌধুরী হাছিব ও এলাকার কয়েকজন সাহিত্যপ্রেমীদের নিয়ে ২০১৮ সালে এ পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। যাত্রাশুরুর পর থেকে পূর্ব মুড়িয়া সাহিত্য পরিষদের পক্ষ থেকে এ পাঠাগারের কার্যক্রম দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। রয়েছে এখানে ছয় শতাধিক বই৷ এলাকার পাঠকরা নিয়মিত বই পড়ছেন বিনামূল্যেেই৷ উপকৃত হছেন এলাকার বই প্রেমিকেরা৷ বিনামূল্যে বই পড়ার সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি অসহায় ও গরিব শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয় পাঠাগারের পক্ষ থেকে৷ এছাড়াও সাহিত্য অনুরাগীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। আবার এ পাঠাগারেই সহযোগী সংগঠন পূর্ব মুড়িয়া সাহিত্য পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতি ত্রি মাস অন্তর ‘সুনাই’ নামে লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়।

পাঠাগারে বই পড়তে আসা আলম আহমদ ও তুহিন তাপাদার সৌরভ বলেন, এই পাঠাগারে এসে সহজেই বই পড়তে পারছি৷ এতে আমার বাড়তি জ্ঞানার্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মাহবুবুল হক চৌধুরী হাছিব বলেন, বইপ্রেমীদের বইপাঠেই আমরা এ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করছি। নিয়মিত বই পড়তে আসেন বইপ্রেমিকা। সেই সাথে যাঁরা পাঠাগারের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

সংবর্ধিত অতিথি ময়নূজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমার চাচার নামে এ পাঠাগারের নামকরণ করা হয়েছে৷ চাচার নামকে ধারণ করতে এ পাঠাগারের অবদান অপরিসীম। আমি পাঠাগারের সর্বাত্মক সহযোগিতায় সবসময় পাশে থাকব।