বিয়ানীবাজার উপজেলায় নেই কোনো বিনোদন কেন্দ্র। উদ্যোক্তার অভাব এবং প্রশাসনিকভাবে যথাযথ উদ্যোগ না নেয়ায় সাধারণ মানুষের বিনোদনের জন্য গড়ে উঠেনি কোন বিনোদন কেন্দ্র। আর তাই একটু বিনোদিত হতে কিংবা খোলা পরিবেশ পেতে উৎসুক মানুষরা প্রকৃতি থেকে নিজেরাই খোঁজে নেন উপভোগ্য স্থান। সেজন্য বিকেল হলেই বিয়ানীবাজারের সীমান্ত এলাকায় ছুটে যান। এ পাশে মুড়িয়া হাওরের সৌন্দর্য অপর পার্শ্বে ভারত সীমান্ত। এতেই তৃপ্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে যাওয়া তরুণ-যুবকসহ সাধারণ মানুষ।

প্রতিদিন বিকেল হলেই প্রকৃতির টানে মোটর সাইকেল কিংবা গাড়িযোগে ঘুরতে আসেন সৌন্দর্য পিপাসুরা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকনের পাশাপাশি ব্যস্ত হয়ে পরেন সেলফি, গ্রুপ ছবি, কিংবা একক ছবি তুলতে তারা।
বিশেষ দিন কিংবা ছুটির দিনে সীমান্ত ঘেঁষা মুড়িয়া হাওরের নয়াগ্রাম এলাকায় পর্যটন এলাকায় পরিণত হয়। অধিকাংশরাই নগর জীবনের ব্যস্ততার ক্লান্তি ঝেড়ে একুট সতেজ হতে ছুটে আসেন মুড়িয়া হাওরের দেশের সীমান্ত এলাকায়।

ঘুরতে আসা পর্যটক আল আমিন বলেন, কাজের ফাঁকে ফ্রি হলেই মুড়িয়া হাওরের সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে আসি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর।

অপর দুই পর্যটক এম. সাইফুর রহমান সাইফ ও পার্থ পাল দিপক বলেন, বিয়ানীবাজারে পর্যটন সম্ভাবনাময় কোনো বিনোদন কেন্দ্র নেই। তাই স্বস্তির সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকনের জন্য খোলামেলাভাবে এই পরিবেশে নিজেরাই এই স্থানে ঘুরতে আসি।

স্থানীয় শিক্ষক মু. আব্দুল আউয়াল বলেন, দুই দেশের মধ্যবর্তী মুড়িয়া হাওরের সীমান্ত ঘেঁষা আমাদের গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মন কাড়ে। তাই বিকেলে বেট হলেই প্রতিদিন দেখা মিলে পর্যটকদের। এখানে পর্যটন সম্ভাবনাময় করে তুলতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আহবান করছি।

বিয়ানীবাজারে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো উদ্যোগ সেভাবে দেখা যায়নি। প্রবাসী অধ্যুষিত এ উপজেলায় বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের দাবি দীর্ঘদিনের।

পর্যটন সম্ভাবনাময় বিয়ানীবাজারের মুড়িয়া হাওরের সীমান্ত এলাকা