প্রতি বছর সিলেটের জকিগঞ্জের সুপারি যায় রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। উপজেলা সদরসহ বেশ কয়েকটি বাজারে সুপারির বিশাল হাট থেকে বেপারিরা এসব সুপারি কিনে রংপুরসহ অন্য এলাকায় পাঠান। সুপারি মৌসুমের দেড়শত কোটি টাকা হাত বদল হয় বলে জানান বেপারিরা।

সুপারি হাটতে বেপারির শ্রমিকরা খলা বলেন। একেকটি বিশাল সুপারি স্তুপ থেকে সুপারি বিক্রি, বাচাই এবং গগণা করতে একেকজন বেপারির অধিনে কাজ করেন ২০ জন করে শ্রমিক। প্রত্যেক বাজারে সপ্তাহে দুইদিন সুপারির হাট বসে। এসব হাটে স্থানীয়রা সুপারি নিয়ে আসেন বিক্রি করতে।

সুপারি বস্তা ভরা সেলাই করা এবং ট্রাকে তোলে দিতে প্রত্যেক হাটে রয়েছেন ৭ থেকে ৮জন শ্রমিক। তাদের মজুরি বস্তা প্রতি ২৫টাকা। শ্রমিক আবুল হোসেন বলেন, এ চার মাস দিন রাত পরিশ্রম করেন তারা। সারা সুপারি বস্তায় ভরা, সেলাই করে ট্রাকে তোলে দেন। রোজগারও ভাল হয়।

জকিগঞ্জ উপজেলা সদরে প্রত্যেক সপ্তাহের রোববার ও বৃহস্পতিবার এ দুই দিন বসে সুপারির হাট। সপ্তাহে দেড় কোটি টাকার বেশি সুপারি ক্রয় বিক্রয় হয়। স্থানীয় বাগানিদের কাছ থেকে সুপারি ক্রয় করে বেপারিরা পাঠান রংপুরে। বেপারি সুলতান মিয়া বলেন, প্রতি হাট থেকে ৫ থেকে ৬জন বেপারি সুপারি ক্রয় করে রংপুরে পাঠান। প্রতি হাটে ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা সুপারি ক্রয় করেন তারা।

জকিগঞ্জে সুপারি মৌসুম শুরু হয় অক্টোবর মাস থেকে, শেষ হয় জানুয়ারি মাসে। বেপারিরা জানান এ চার মাসে পুরো জকিগঞ্জ উপজেলায় সুপারি ক্রয় বিক্রয় হয় দেড় শত কোটি টাকার বেশি।