বিয়ানীবাজারের চারজন কৃতিসন্তানসহ ৭ প্রবাসী বাংলাদেশির বিনিয়োগে সিলেটে হতে যাচ্ছে নতুন একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্ট। আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশীদের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আমেরিকান লিবার্টি পাওয়ার বিডি লিমিটেড সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ এলাকায় গড়ে তুলবে নতুন এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।

এতে গ্যাস সরবরাহ করবে সিলেট জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সিলেট জালালাবাদ গ্যাস অফিসে এ সম্পর্কিত আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হলো। তেরোটি প্রতিষ্ঠানকে পেছনে ফেলে নতুন এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি টেন্ডার পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশীদের নিয়ে গড়া লিবার্টি প্লান্ট বিডি। সর্বোচ্চ পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এই পাওয়ার প্লান্টের যাত্রাকে মাইলফলক হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জালালাবাদ গ্যাসের কনফারেন্স রুমে চুক্তি স্বাক্ষর করেন জালালাবাদ গ্যাসের পক্ষে কোম্পানি সচিব মো. শহিদুল ইসলাম ও আমেরিকান লিবার্টি পাওয়ার বিডি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক।

প্রায় সাড়ে ৪শ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেটে স্থাপিত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আগামী বছরের শেষ নাগাদ উৎপাদনে আসবে বলে জানান উদ্যোক্তারা। পুরোপুরি প্রবাসী বিনোয়োগের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। এই বিদ্যুৎ প্রকল্পে সিলেটে শিক্ষিত বেকার তরুণদের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন উদ্যোক্তারা।

চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জালালাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. মো. শোয়েব আহমেদ মতিন, মহা-ব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা) প্রকৌ. জসিম উদ্দিন আহমদ, প্রকৌশলী মঞ্জুর আহমদ চৌধুরী , প্রৌকশলী এবিএম শরীফ, আবু ইউসুফ মিয়া প্রমুখ।

আমেরিকান লিবার্টি পাওয়ার বিডি লিমিটেডের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার জে চৌধুরী, ডিএমডি আবু সউদ মো. আরাফাত, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, ফাইনান্স ডিরেক্টর শরিফ আহমদ লস্কর ও আইটি ডিরেক্টর সাইদ আহমেদ শাহিনসহ দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ।

উল্লেখ্য, আমেরিকান লিবার্টি পাওয়ার বিডি লিমিটেডের সাতজন শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে চারজন বিয়ানীবাজারের কৃতিসন্তান। তাঁরা হচ্ছেন- বিয়ানীবাজার পৌরসভার চন্দ্রগ্রামের মো. এনামুল হক, পৌরসভার খাসাড়িপাড়া গ্রামের শামসুল আবেদীন, মুড়িয়া ইউনিয়নের ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের আবুল হোসেন ও মাথিউরা ইউনিয়নের নালবহর গ্রামের সাইদ আহমেদ শাহিন।