বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস দূর্যোগময় পরিস্থিতির মধ্যেও যথাসময়ে প্রায় সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিচ্ছে সরকার। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সারাদেশের ন্যায় বিয়ানীবাজারে এবার বই উৎসব হয়নি। উৎসব না হলেও সংক্রামণ এড়াতে এবার ব্যতিক্রমীভাবে শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকালে বই বিতরণ করা হয় বিয়ানীবাজারের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে। ওইদিন দুপুর ১২টার মধ্যেই বই বিতরণ শেষ হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পৃথক শ্রেণী কক্ষে বই বিতরণ করেন শিক্ষকরা। তবে তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে।

উৎসব না হলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা গেছে আনন্দের ছাপ।  নতুন বছরের প্রথম দিনে শীতকে উপেক্ষা করে স্কুলগুলোতে উপস্থিত হয় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা। স্কুলের শিক্ষকরা একে একে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অনেকদিন পর তাদের সাথে খোশগল্পে মেতে উঠেন শিক্ষক-শিক্ষিকা। করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থী স্বাস্থ্যের প্রতি আরও বেশী সচেত হয়ে উঠেন। স্কুলে বই নিতে আসা খুদে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে দেখা গেছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মৌলুদুর রহমান বলেন, এবার বিয়ানীবাজারে কোন বই উৎসব না হলেও বই নিতে আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উৎসাহ দেখা গেছে। অনেকদিন পর বইয়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা শিক্ষার্থীরাও বেশ খুশি। যারা নির্ধারিত সময়ে বই নিতে পারেননি তারা স্কুল থেকে বই সংগ্রহ করতে পারবেন।  তবে উৎসব না হলেও উৎসব মুখোর পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ করা হয়।

জানা যায়, সিলেটের ১৩ উপজেলায় ২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি, প্রাথমিক স্তর এবং নৃ-গোষ্ঠীর বই বরাদ্দের কথা ছিল ২৬ লাখ ৮ হাজার ৬২৬টি। এই চাহিদার মধ্যেও প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ২১ লাখ ৭ হাজার ২৬টি। সেই হিসেব অনুসারে এখনও সিলেটের ১৩ উপজেলায় বইয়ের ঘাটতি রয়েছে ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬০০ বইয়ের। ঘাটতি হওয়া বইগুলোর প্রিন্ট শেষ হলেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেয়া হবে। এরমধ্যে ৬টি উপজেলায় শতভাগ বই পৌঁছালেও অন্য ৭টি উপজেলায় শতভাগ বই এখনও পৌঁছায়নি। বিয়ানীবাজার উপজেলায় ৬৯ হাজার ৮৫০বইয়ের ঘাটতি রয়েছে।

করোনাকালেও বিয়ানীবাজারের প্রতি প্রবাসীদের ভালোবাসার হাত