১৪.০৬.২০২০ (আমি জীবনে কখনও এমন লেখা লিখি নাই!)
এই তারিখটা আমার জীবনের সবচেয়ে স্পেশাল দিন। এই দিনে সবাই একবার হলেও আমাকে মনে করে, অ্যাটেনশন দেয় তাই হয়তো। বরাবরের মতো এবারও করোনাকে ভুলে গিয়ে খুব এক্সাইটেড ছিলাম। তবে জন্মদিনটা শুরু হতেই ঠিক ১২টা ৩০ মিনিটে জানলাম বাবার করোনা পজিটিভ এবং ১৪ তারিখ সকালে জানলাম মাও করোনা পজিটিভ। আমার জীবনের সবচেয়ে স্পেশাল দিনে এই খবরটার জন্য নিশ্চয়ই আমি প্রস্তুত ছিলাম না!
যাক তাও আমরা ভালো আছি। ভিডিওকলে দিব্যি আড্ডা দিচ্ছি বাবা মায়ের সঙ্গে। তারাও ভালো সময় কাটাচ্ছে। দুজনে একসাথে, কার্ডস লুডু আরও কতকি খেলছে। দ্রুত সুস্থ না হয়ে যাবে কই?
একটা ঘটনা বলি, দুদিন আগে এক আন্টি আমাকে কল করে বললো, ‘দেখেছো মা, করোনার কারণে বাবা-মা কতটা সময় পেল নিজেদের জন্য? তা নাহলে তো বাবা অফিসের কাজেই ব্যস্ত থাকে।’ তার এই কথা শুনে আমিও ভেবে দেখলাম ‘তাইতো!’ বাবা কাজে এত বিজি থাকে যে, একটু অসুস্থ হয়ে এতদিন বাসায় আছে এও বা কম কিসে? তবে একটু কষ্ট লাগছে এজন্য যে মা বাবার কাছে যেতে পারছি না। তাদের সাথে আমরা খেলতে পারছি না, সময় কাটাতে পারছি না। এগুলা কোনো ব্যপারই না!আমি যখন মা বাবার ঘর থেকে ‘আমরা করবো জয়’ বা ‘মুক্ত করো ভয়, আপন মাঝে শক্তি ধরো নিজেরে জয়’ গানের সুর ভেসে আসতে শুনি তখন মুচকি হেসে ঋদ্ধকে বলি, বিশ্বাস করো মা-বাবা ভালো আছে এবং খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে।
পরিশেষে সকলের দোয়া কামনা করছি।

লেখক-দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের মেয়ে। তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া।

বিয়ানীবাজার উপজেলার করোনা আক্রান্তের ৬০ভাগ পৌরএলাকার বাসিন্দা