বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে ৩র্ন ওয়ার্ড কসবা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে কেন্দ্রের ভেতর ও বাইরে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর  সমর্থকদেও মধ্যে সংঘর্ষ এবং ব্যাপক জাল ভোট ও কারচুপির অভিযোগ থাকায় নির্বাচন কমিশন একেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করেছে। এ কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে পরবর্তীতে ভোট গ্রহণ করা হবে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মনির হোসেন।
কসবা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের পুনরায় ভোটে নির্ধারীত হবে বিয়ানীবাজার পৌরসভার পরবর্তী মেয়র কে হচ্ছেন। এ ভোট কেন্দ্র আওয়ামী লীগের দূর্গ বলে পরিচিত। একই সাথে আব্দুস শুকুরের নিজ গ্রাম কসবা এলাকার ভোট কেন্দ্র হওয়ায় এরই মধ্যে তার সমর্থকরা তাকে পরবর্তী মেয়র দাবি করে ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।

১০ কেন্দ্রের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা মনির হোসেন ৯ কেন্দ্রের ফলাফ ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফলাফলে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি আবু নাসের পিন্টু ৩,৬২৫, নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের আব্দুস শুকুর ৩,৪৭১ এবং জগ প্রতীক নিয়ে বর্তমান পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন পেয়েছে ৩,৩০৪টি ভোট, মোবাইল ফোন প্রতীকের আবুল কাশেম পল্লব ২১৮০, রেল প্রতীকের জমির হোসাইন ৬৯৮, কম্পিউটার প্রতীকের আমান উদ্দিন ২৪, নারিকেল প্রতীকের বদরুল হক ১২, মশাল প্রতীকের শমসের আলম ৩৬ ভোট পান। বাতিল হওয়া কসবা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার হচ্ছেন ৩৩৮৮ জন।

একেন্দ্রটি কসবা এলাকার মধ্যে হওয়ায় পুনরায় ভোটের আব্দুস শুকুরকে এগিয়ে রাখছেন পৌরবাসী। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ শিবিরের আনন্দের বন্যা বইছে। কসবার ভোটের উপর নির্ভর করে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা মিস্টি বিতরণ করছেন। পাশাপাশি বিএনপি এরই মধ্যে নির্বাচন প্রত্যাখান করলেও ঘোষিত ফলাফলে তারা এগিয়ে থাকায় নিজেদের প্রার্থীকে মেয়র পদে বিঝয় বলে ধরে নিয়েছেন। ঠিক বিপরীত চিত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী তফজ্জুল হোসেনের শিবিরে। এরই মধ্যে তিনি নির্বাচন প্রত্যাখান করেছেন। ঘোষিত ফলাফলে তার অবস্থান ধান ও নৌকার পিছনে থাকায় সমর্থকদের মধ্যে হতাশা ভর করেছে।