বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে তিনি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এসময় হাসপাতালে কর্মরত অনেকেই অনুপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী আসার খবর পেয়ে হাসপাতালের দায়িত্বশীলরা ছুটে আসেন। শনিবার (০২ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে পরিবেশ মন্ত্রী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। এসময় মন্ত্রী বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

ঝটিকা সফরে মন্ত্রীর সাথে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে হঠাৎ বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন পরিবেশমন্ত্রী এবং স্থানীয় সাংসদ মো. শাহাব উদ্দিন। তখন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অনুপস্থিত ছিলেন। জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. শারমিন আক্তার এবং ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফেরদৌস আক্তারকে তিনি পাননি। মন্ত্রী আসার খবরে তারা ছুটে আসেন। এরপর মন্ত্রী হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন। ভর্তি রোগী ও তাদের সাথে থাকা স্বজনদের সাথে কথা বলেন।

পরিদর্শনকালে মন্ত্রী রোগীদের জন্য সরবরাহ করা খাবরের মান (নিম্নমানের), মেডিকেল অফিসারদের অনুপস্থিতি, গত ছয়মাস থেকে স্বাস্থ্য সেবা কমিটির মিটিং না হওয়া, সরকারি কর্মচারীদের অ্যাম্বুলেন্স বাণিজ্য, রেজিষ্টার বই চেক করে আপডেট তথ্য না পাওয়াসহ নানা কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় তিনি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকের সাথে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট থাকার কারণ নিয়ে মুঠোফোনে কথা বলেন। ব্যক্তিগত অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে ব্যবসা করার বিষয়েও জানতে চান।

মন্ত্রী গণ মাধ্যমকে বলেন, ‘বাস্তব চিত্র দেখতে কাউকে না জানিয়েই হাসপাতালে পরিদর্শনে যাই। রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলেছি। কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে।’