সিলেটের জেলা প্রসাশক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেছেন, পাহাড়-পর্বতে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভূমি গোলাপগঞ্জ। গোলাপগঞ্জের এই সৌন্দর্যকে রক্ষা করতে পাহাড় ও টিলা কাটা বন্ধ করতে হবে। কোন অবস্থাতেই টিলা কাটা যাবে না। যারা এর সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। গোলাপগঞ্জে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলোচনা করব। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকতে হবে। গোলাপগঞ্জের যেসব ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার নেই সেসব কেন্দ্রে ডাক্তার নিয়োগের ব্যাপারে সিভিল সার্জনের সাথে আলাপ করব।

তিনি সোমবার বিকেলে গোলাপগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজ নজমুল ইসলাম, গোলাপগঞ্জ পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুমান উদ্দিন মুরাদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খায়রুল আমীন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার পাল, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম ফজলুল হক শিবলী, সাবেক গোলাপগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফিকুর রহমান, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ গোলাপগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মামুনুর রশীদ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-প্রকৌশলী শাহ মুহাম্মদ লুটন, সাংবাদিক আব্দুল আহাদ, সাংবাদিক মাহফুজ আহমদ চৌধুরী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুমন্ত ব্যানার্জী, প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফনিন্দ্র চন্দ্র সরকার, সমবায় কর্মকর্তা জামাল মিঞা, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অজামিল চন্দ্র নাথ, সিনিয়র সহ-সভাপতি এনামুল হক এনাম, সাংবাদিক হারিছ আলী, সুলতান আবু নাসের প্রমুখ।