বিয়ানীবাজার পৌরশহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং প্রধান সড়কের ডিভাইডারে সৌন্দর্য্য বর্ধনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে পৌর  কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে বুধবার (২৪ জুলাই) রাত ৯টার মধ্যে শহরের প্রধান সড়কের উভয় পাশ অবমুক্ত করতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেন পৌর মেয়র মো আব্দুস শুকুর। বেঁধে দেয়া সময় শেষ হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ১১টায় পৌরশহরের প্রধান সড়কের ডিভাইডারসহ উভয় পাশ অবমুক্ত করতে অভিযানে নামেন পৌর মেয়র মো. আব্দুস শুকুর।

বিয়ানীবাজার পৌরশহরের মাছ বাজার সংকট সম্প্রতি সমাধান হয়েছে। পৌরশহরের মধ্যবাজারের ভেতরে জুবেদ আলী মার্কেটে মাছ বাজার স্থাপন করা হয়। একই সাথে মাছ বাজারের পাশের গলিতেই সবজি ব্যবসায়ীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা করে সেখানেও তাদেরকে বসার সুযোগ দিয়েছে পৌরসভা। পৌরশহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং প্রধান সড়কের ডিভাইডারে সৌন্দর্য্য বর্ধন কাজ শুরু হবে জানিয়ে সড়ক অবমুক্ত করার জন্য একটি বিশেষ নোটিশ জারি করে পৌরসভা। এছারাও লিখিত নির্দেশনা ছাড়াও মাইকিং করেও শহরে প্রচারণা চালানো হয়েছে। এদিকে, বিশেষ নোটিশের বেঁধে দেয়া সময় শেষ হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ১১টায় সড়ক অবমুক্তকরণে নামে পৌর কর্তৃপক্ষ।

অভিযানকালে পৌর মেয়র মো. আব্দুস শুকুর বলেন, একটি পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সাধারণ মানুষ, পৌরবাসী ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা ছাড়া পৌরসভাকে পরিচ্ছন্ন করা পৌরসভার একা পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি বলেন, মাছ ও সবজি বাজারের সৃষ্ট সমস্যা নিরসন হয়েছে। তিনি বলেন, বুধবার রাত পর্যন্ত আমরা শহরের ডিভাইডারসহ উভয় পাশের ব্যবসায়ীদের মালামাল সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছি। নির্ধারিত সময়ে মধ্যে সড়ক সম্পূর্ণ খালি না হওয়ায় আজ আমরা সড়ক অবমুক্ত করতে অভিযানে নেমেছি।

সড়ক অবমুক্তকরণ অভিযানে পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।

উল্লেখ্য, বিয়ানীবাজার পৌরশহরকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর ‍করতে কাজ শুরু করেছে পৌরসভা। শহরের প্রধান সড়কের খাসা থেকে সুপাতলা পর্যন্ত সড়কদ্বীপে (রোড ডিভাইডার) এসএস পাইপের বেস্টনি স্থাপন ও বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা রোপন করার উদ্যোগ নিয়েছে পৌরসভা। এরই মধ্যে নকশা প্রণয়নের কাজ শেষ করেছেন দায়িত্বশীলরা। বর্তমানে এ প্রকল্পের প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণে প্রক্রিয়া চলছে। প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণ প্রক্রিয়া শেষ হলে সড়কের খাসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখ থেকে সুপাতলা এমএজি স্টেডিয়াম প্রাঙ্গন পর্যন্ত সৌন্দর্য্যবর্ধন কাজের ব্যয়ের একটি ধারণা পাওয়া যাবে।