আবু তাহের রাজু । ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।

সিলেট বিভাগের গণহত্যা নিয়ে লুৎফুর রহমান রচিত ‘লাল সবুজের ছড়া’র পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার বিকেল ৪ টায় সমছুল-করিমা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বৃটেনবাসি সাংবাদিক ও কলামিস্ট ফারুক যোশী। পাঠ আলোচনা করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সিলেট অঞ্চল-সিলেটের উপ-পরিচালক (কলেজ) শিক্ষাবিদ তারিকুল ইসলাম, প্রতিথযশা কবি ফজলুল হক, শেখ ওয়াহিদুর রহমান একাডেমির অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, খেলাঘর জেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম বাঙালি, গবেষক  ও লেখক মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান, ছড়ামঞ্চ সিলেটের সভাপতি ছড়াকার সিরাজ উদ্দিন শিরুল ।

আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান, প্রধান শিক্ষক (অব.) শিক্ষাবিদ আলী আহমদ, সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় সুনামগঞ্জের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. কবির খান, জুড়ি টি এন খানম কলেজের অধ্যক্ষ অরূণ চন্দ্র দাস।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ফারুক যোশী বলেন, ছড়া সাহিত্যে অঞ্চলভিত্তিক গণহত্যার ইতিহাস রচনার প্রথম অভিযাত্রী লুৎফুর রহমান যে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় এবং মৌলিক একটি কাজ। তিনি বলেন- বর্তমান সময়ে শিক্ষার বিপরীতে শিক্ষা, চেতনার বিপরীতে চেতনা চলে গেছে ফলে সমকালীন শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতিতে দেখা দিয়েছে সংশয় সংঘাত। স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল লক্ষ ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। সেই সফলতা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি; একটি কুচক্রিমহল আমাদের শিক্ষাকে সংস্কৃতিকে পশ্চাৎপদে তথা হেফাজতমুখি করতে নীল নকশা তৈরীর পায়তার করছে। সেই অপশক্তিতে বেরিয়ে আসতে বেরিয়ে আসতে আমাদেরকে সভ্য, সুশীল বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

আলোচকের বক্তব্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালক (কলেজ) তারিকুল ইসলাম বলেন, গ্রন্থে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধকালে সংগঠিত অঞ্চলভিত্তিক গণহত্যার বিভিন্ন বিষয়াদি তথা ইতিহাস ছড়ায় ছড়ায় সৃষ্টি অনেক কঠিন এবং দুঃসাধ্য। অনুজপ্রতীম ছড়াবন্ধু লুৎফুর রহমানের সৃজনশীল এ কাজটি নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রতকরণের পাশাপাশি গবেষণা ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

ছড়ার সাহিত্যে অঞ্চলভিত্তিক গণহত্যার ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে প্রথম অভিযাত্রী লুৎফুর রহমান যে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। গ্রন্থে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধকালে সংগঠিত অঞ্চলভিত্তিক গণহত্যার বিভিন্ন বিষয়াদি তথা ইতিহাস ছড়ায় ছড়ায় সৃষ্টি অনেক কঠিন এবং দুঃসাধ্য। অনুজপ্রতীম ছড়াবন্ধু লুৎফুর রহমানের এ কাজটি নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রতকরণের পাশপাশি গবেষণা ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

শহীদ পরিবারের পক্ষে অনুভূতি প্রকাশ করেন বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান রুমা চক্রবর্তী, নিজের অনুভুতি প্রকাশ করেন ছড়াকার লুৎফুর রহমান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বড়লেখা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. নিয়াজ উদ্দীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমছুল-করিমা ফাউন্ডেশনের পক্ষে সাংবাদিক শাবুল আহমেদ।

বীরমুক্তিযোদ্ধা ও লেখক আব্দুল মালীক ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন কবি ওয়ালি মাহমুদ। পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে লাল সবুজের ছড়া গ্রন্থ থেকে ছড়া আবৃত্তি করেন নাট্যকর্মী ও শিক্ষক রিক্তা চক্রবর্ত্তী, আফতাব আহমদ সুইট। বত্তব্য রাখেন বিয়ানীবাজার আদর্শ মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ফয়ছল আহমদ, শীতলপাটি সম্পাদক ইমন শাহ, বিয়ানীবাজার জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আহমেদ ফয়সাল ও বাউল শীতন বাবু। ‘অন্ধকারে আলো’ শ্লোগানে ২০০৪ সনে প্রতিষ্ঠিত মৌলিক ও সৃজনমনস্ক সংগঠন সমছুল-করিমা ফাউন্ডেশন থেকে বইটি প্রকাশ করেছেন বৃটেবাসি কবি ও সাংবাদিক আনোয়ারুল ইসলাম অভি।