সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই প্রকল্প থেকে চীন সরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনের সাবেক আবাসিক প্রতিনিধি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান একে আব্দুল মোমেন। চীনকে সাথে রেখে দ্রুত এই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
রোববার দুপুরে সিলেটে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের এই অনুজ। আগামী নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যার নাম আলোচিত হচ্ছে।
সিলেটের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচী নিয়ে রোববার দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন আব্দুল মোমেন। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিলেট-ঢাকা মহসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ নিয়ে নিজের শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
গত বছরের অক্টোবরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করতে চীন সরকারের মনোনীত কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। চুক্তি অনুযায়ী প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কাঁচপুর থেকে সিলেট পর্যন্ত ২২৬ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতের কাজ চলতি বছরের জুনে শুরু হয়ে ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা।
তবে সম্প্রতি খবর প্রকাশ হয়, বাংলাদেশ সরকারের দর প্রস্তাবে রাজি না হয়ে এ প্রকল্প থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিতে যাচ্ছে চায়না হার্বার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি।
জানা যায়, চায়না হার্বার ইঞ্জিনিয়ারিং ২০১৭ সালের নির্মাণ ব্যয় হিসেব করে দর প্রস্তাব করেছে। আর বাংলাদেশ সরকার ২০১৪/১৫ সালের নির্মাণ ব্যয় হিসেব করে প্রস্তাব দিয়েছে। এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কথা জানিয়ে এরই মধ্য তারা চিঠি দিয়েছে মন্ত্রনালয়ে।
এ ব্যাপারে রোববার আব্দুল মোমেন বলেন, চীনা কোম্পানির প্রস্তাব মেনে নিয়েই দ্রুত কাজটি শুরু করা উচিত। কারণ কিছু টাকা বেশি গেলেও এই সড়ক চার লেনে উন্নীত হলে যে বিপুলভাবে লাভবান হওয়া যাবে। কিন্তু যথাসময়ে সড়কের কাজ শেষ না হলে যে ক্ষতি হবে তা নির্মান ব্যয়ের কিছুটাকা বেশির লাগার ক্ষতির থেকেও অনেক বেশি। ফলে সড়কটির কাজ দ্রুত শুরু করা উচিত।
এরআগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পক্ষে সিলেটের উন্নয়ন কার্যক্রম তদারকির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ড. মোমেন সিলেটের যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোসহ সার্বিক উন্নয়নে নিজের প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন আব্দুল মোমেন।
ডিজিটাল সিলেট সিটি, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন, সিলেট হাইটেক পার্ক নির্মাণ, নগরীর ছড়া-খাল উদ্ধার ও সংরক্ষণ, সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নসহ আইনশৃংখলাসহ সিলেটের উন্নয়নে সরকারের গৃহিত বিভিন্ন প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা ও নিজের পরিকল্পনাধিন বিভিন্ন বিষয় তিনি উপস্থাপন করেন। সিলেট নগরীকে কেন্দ্র করে যানজট নিরসনে দু’টি রিংরোড স্থাপনে নিজের পরিকল্পনার কথাও জানান ড. মোমেন।
তিনি বলেন, আগেও অনেক পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। তবে, কাজ হয়নি খুব বেশি। এখন সেটা হচ্ছে। ২০১৭ সালে স্বাস্থ্য খাতে অপারেটিং প্রোগ্রামের আওতায় বেশ কিছু কাজ হচ্ছে। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের যথাযথ বাস্তবায়ন ও তদারকি হলে দেশের উন্নয়ন টেকসই হবে। এক্ষেত্রে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
ডিজিটাল সিলেট সিটি : ‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’ হচ্ছে সিলেট। এটি বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম। যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে অনুমোদন দিয়েছেন।
ড. মোমেন জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই এই প্রকল্পের টেন্ডার আহ্বান করা হবে। তিনধাপে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এটা হয়ে গেলে ঘরে বসে সবধরণের সেবা পাবেন সিলেটবাসী। বিদ্যুৎ, গ্যাস বিল পরিশোধ, ট্যাক্সসহ সবকাজ মনিটরিং হবে মডার্ণ এই টেকনোলজির মাধ্যমে। এতে নাগরিক ভোগান্তিও কমে যাবে।
ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন নগরনিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার হবে। এ প্রকল্পের আওতায় নগরী ৩৮৩টি অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
মডার্ণ টেকনোলজির মাধ্যমে মানুষের সেবা তরান্বিত করতে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর উদ্যোক্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তার পথধরেই আমরা দেশের মধ্যে প্রথম এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ড. মোমেন বলেন, এটি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্প্রসারিত বা আপডেট কোন প্রকল্প নয়। সিলেটে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্প ইতিমধ্যে অনুমোদন দিয়েছেন। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নগরী ও আশপাশ এলাকায় জায়গা খোঁজাখুঁজি হচ্ছে।
তিনি বলেন, একটি দৃষ্টিনন্দন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে সিলেটের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে নিয়ে জায়গা খুঁজে দেখবেন এবং চূড়ান্ত করবেন। যত দ্রুত জায়গা চূড়ান্ত হবে ততদ্রুত এটি বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করেন তিনি।
ওসমানীতে ১হাজার শয্যার ছাত্রাবাস : সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে একহাজার শয্যাবিশিষ্ট ছাত্রাবাস নির্মাণের বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে বলে জানান ড. মোমেন। ইন্টার্ণ ডাক্তার, নার্সদের আবাসনের সমস্যা নিরসনে এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
দুইশ’ শয্যার বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল : সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন শিশু হাসপাতালকে একশ’ শয্যা থেকে দুই শয্যায় উন্নীত করার প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়ে গেছে জানিয়ে ড. মোমেন জানান, হাসপাতালের উন্নয়নে নকশা প্রস্তুত করা হয়েছে।
ড. মোমেন আরো জানান, নগরীর চৌহাট্টায় নির্মিত একসময়ের সিলেট সদর হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত, এটাকে পরবর্তী সময়ে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতাল এবং বর্তমানে বিশেষায়িত শিশু হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। যে কারণে পৃথকভাবে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সিলেট সদর হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য আলাদা জমি খোঁজা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু হয়ে যাবে।
সিলেট ডেন্টাল হাসপাতালে বহুতল ভবন : সিলেট ডেন্টাল হাসপাতালের বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। ৫তলা বিশিষ্ট এই ভবন নির্মাণের এই কাজ ২০১৭ সালেই শুরু হবে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর ছড়া ও খাল উদ্ধার : সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৭টি ছড়া ও খাল উদ্ধারে অর্থ বরাদ্দের কথা জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, ৩৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। টেন্ডার হয়ে গেছে শুধুমাত্র ওয়ার্ক অর্ডার বাকি আছে। পানি কমে গেলে অক্টোরের শেষের দিকে কাজ শুরু হবে।
টাকাগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগাতে সকলের সুদৃষ্টি কামনা করে তিনি বলেন, দুর্নীতি বা অনিয়মের কারণে সিলেটের বদনাম যাতে না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল লাখতে হবে।
সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ : সিলেটের রাস্তাঘাটের উন্নয়নে সরকার ৫শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে জানিয়েছে ড. মোমেন বলেন, শুধুমাত্র জকিগঞ্জ-চারখাই সড়কের জন্য ১৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে আমাদের এ অঞ্চল তথা দেশের উন্নয়ন তরান্বিত হবে এবং সিলেটের সকল সম্ভাবনার দ্বার উন্মুচিত হবে।
তিনি আরও জানান, সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এ সড়কের জন্য আগেই ৪৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই সড়ক নির্মাণ হলে দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারি ভোলাগঞ্জের সঙ্গে দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে এবং রাজস্ব বাড়বে। রাস্তা নির্মাণের গুণগত মান বজায় রাখতে সাংবাদিকদের নজর বাড়ানোর জন্য গুরুত্বারূপ করেন আব্দুল মোমেন।
সিলেট বিমানবন্দর-বাদাঘাট বাইপাস ও আম্বরখানা-বিমানবন্দর চারলেন সড়ক নির্মাণের প্রকল্প প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। এছাড়া সিলেট-আখাউড়া ব্রডগেজ রেললাইন সরকার অনুমোদন করেছে। তবে, সেটা বাস্তবায়নে কিছু সময় লাগবে।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন : সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে ইতিমধ্যে একনেক সভায় ৪৫২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত পরিকল্পনা হাতে নেয়া হচ্ছে। শিগগিরই এ কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় লন্ডন থেকে সিলেটে সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়েছে। এখন সিলেট থেকে সরাসরি লন্ডনে আরেক ফ্লাইট চালুর করার চেষ্টা করছি আমরা। বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।
সিলেট হাইটেক পার্ক : ‘সিলেট ইলেকট্রিক সিটি’ নামে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সালুটিকরে ১৬২ একর জায়গার উপর একটি হাইকেট পার্ক নির্মাণ করছে সরকার। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং আইটি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে এ প্রকল্প বিশেষ অবদান রাখবে। সিলেট ইলেকট্রিক সিটিতে অর্ধলক্ষ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। প্রকল্পটির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। মাটি ভরাটসহ আনুষাঙ্গিক কাজ শুরু হয়েছে।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার : চলতি বছরের ডিসেম্বরে সিলেট শহরতলীর বাদাঘাটে নির্মিত অত্যাধুনিক সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের কার্যক্রম শুরু হবে জানিয়ে ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রকল্পটির কাজ আগেই শেষ হওয়ার কথা ছিলো। বিভিন্ন কারণে কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। কারাগারের নির্মাণ কাজ শেষ হলে পুরাতন কারাগারে থাকা হাজতি ও কয়েদিদের একদিনের মধ্যেই সেখানে স্থানান্তর করা হবে।
পুরাতন কারাগারের জায়গায় সবুজ পার্ক নির্মাণের ব্যাপারে তিনি বলেন, পুরাতন কারাগারে থাকা ঐতিহ্য ও স্মৃতিগুলো সংরক্ষণে রেখে কিভাবে সবুজ পার্ক গড়ে তোলা যায় সে ব্যাপারে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সিলেটে গ্যাস সংযোগ : সিলেটে নতুন গ্যাস সংযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোন অগ্রগতি হয়নি। আমরা চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছি।
সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের সহযোগিতা : কৃষি অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ ও সিলেটে আগাম বন্যার কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন। সরকার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে ক্ষতিগ্রস্থদের সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ বিশেষ করে দিরাই-শাল্লা এলাকার মানুষের সহযোগিতায় দেশি-বিদেশি, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং সামর্থবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসা উচিত।
ড. মোমেন সোমবার (৮ মে) থেকে ২৮ মে পর্যন্ত হাওর অঞ্চলের সকল প্রাইমারি স্কুলে শিশুদের জন্য দুপুরের খাবার বিতরণে নিজেদের উদ্যোগের কথা জানান। তিনি বলেন, সিলেটের একটি বেসরকারি কোম্পানী হাওরে ১০ টন চাল দিচ্ছে। সিলেট সদর এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্যও তারা ১০ কেজি করে ১০০ বস্তা চাল দিয়েছে। এটা আমাদের দেশের অনুপ্রেরণার ক্ষেত্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দুঃস্থ মানুষের কল্যাণে সবসময় আন্তরিক।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আফছর আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী প্রমুখ