বিয়ানীবাজার উপজেলা যুবলীগের কোন কমিটি নেই- এ দাবি জানিয়েছিলো সিলেট জেলা যুবলীগ। উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটিকে কোন সময় স্বীকৃতি দেয়নি জেলা কমিটি। ফলে আসন্ন জেলা যুবলীগের কাউন্সিলর তালিকা নাম উঠেনি বিয়ানীবাজার যুবলীগের কারো নাম। ফলে জেলা যুবলীগের কাউন্সিলে উপজেলা যুভলীগের নেতাকর্মীরা দর্শকের মতো গ্যালারিতে থাকবেন- এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে।

সোমবার ১১টি উপজেলার সকল কাউন্সিলরদের নামের তালিকা কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এড.বেলাল হেসাইন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিকের কাছে হস্তান্তর করেছেন সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ। জমা দেয়া কাউন্সিলর তালিকায় জেলার ১৩ টি উপজেলার মধ্যে বিয়ানীবাজার এবং সদর উপজেলায় যুবলীগের কোনো কমিটি না থাকায় এই দুটি উপজেলা থেকে কোনো কাউন্সিলরের নাম পাঠানো হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিয়ানীবাজার উপজেলা যুবলীগের এক নেতা বলেন, বিগত আহবায়ক কমিটি ভূয়া ছিল। শুধু একজনের ইচ্ছা কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা দীর্ঘদিন পদ আকড়ে রেখেছিল। এবার সবাই জানলো বিয়ানীবাজার আদৌ কোন যুবলীগের কমিটি নেই। গত দশ বছরের মধ্যে ছিল না।

জেলা যুবলীগের এক দায়িত্বশীল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যুবলীগের কোন কমিটি গত একযুগ থেকে অনুমোদন দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, আহবায়ক কমিটি কারা করেছে এবং কারা অনুমোদন দিয়েছে সেটা সিলেটের দায়িত্বশীল জানেন না। যার কারণে এ দায়ও জেলা কমিটি নেবে না। কারণ আমরা অনেক বার চেষ্টা করেছি উপজেলা যুবলীগের কমিটি গঠন করার কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

কাউন্সিলর নামের তালিকা পাঠানো উপজেলাগুলো হল- গোলাপগঞ্জ, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও ওসমানীনগর।

তালিকা প্রদানকালে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান বলেন, একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের নাম্বার ওয়ান যুব সংগঠন আবারো বলীয়ান হয়ে উঠবে-এই প্রত্যাশা তৃণমূল নেতাকর্মীদের।

তালিকা গ্রহণকালে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, খুব দ্রুতই ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার মধ্য দিয়ে একটি সফল সম্মেলনের মাধ্যমে আগামীর নের্তৃত্ব বের হবে-এটাই প্রত্যাশা।