সিলেট এমএজি ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করেন দেশ বিদেশের হাজার হাজার যাত্রি। সিলেট পর্যটন অঞ্চলে ঘুরতে বিভিন্ন বিমানে আসেন পর্যটকও। সবার দৃষ্টি আটকে যায় বিমানবন্দরের বাইরে থাকা কয়েকটি সাইন বোর্ডের দিকে। কৌতুহলী চোখে প্রশ্ন জাগে- এ কেমন সাইন বোর্ড, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কি একটি দর্শণীয় সাইনবোর্ডও টানিয়ে রাখতে পারে না।

সরকার দেশের সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, সড়ক, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভার সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য কাজ করছে। একই সাথে দায়িত্বশীলদের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে। কিন্তু ডিজিটাল এ যুগে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করাতো দূরের কথা সৌন্দর্যহানি করছে সিলেট এমএজি ওসমানি বিমানবন্দরে হাতে লেখা সাইনবোর্ড। টিনের উপর সাদা রঙ দিয়ে লেখা (যাত্রী উঠানামার, সর্বোচ্চ ২ মিনিট গাড়ি রাখা যাবে) সাইনবোর্ডটি ডিজিটাল এ যুগে বড়ই বেমানান-দৃষ্টিকটু।

ওসমানি বিমানবন্দরে নিজের আত্মীয়কে বিদায় দিতে দিকে এ সাইনবোর্ডটি দেখে আফসোস প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ নেতা পলাশ আফজাল। তিনি বলেন, দেশ প্রযুক্তির দিক দিয়ে এগিয়ে গেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক এ বিমানবন্দরের সাইন বোর্ড দেখে গ্রামের কৃষকদের ক্ষেতে লাগানো সাইন বোর্ডের কথাই মনে পড়ে গেলো। ক্ষেতের আইলে কুনজর এড়াতে এভাবে একটি টিনের ওপর চুন দিয়ে লিখে টানিয়ে রাখতেন কৃষকরা। তাদের বিষয়টি যতটা মানান সই ঠিক ততটা বেমানান বিমানবন্দরে ঝুলানো এ সাইন বোর্ডগুলো।

এ বিষয়ে এমএজি ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীলদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় দায়িত্বশীলদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ফলে জানা যায়নি এরকম সাইনবোর্ড টানানো কতটা যুক্তি সংগত। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য না পাওয়া গেলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে দৃষ্টিকুটু এসব সাইনবোর্ড সরানো দাবি জানিয়েছেন বিমানবন্দর ব্যবহারকারি স্থানীয়রা।