সিলেটে দীর্ঘদিন থেকে অটোরিক্সা দিয়ে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এতে যে কোন সময় যে কেউ অটোরিক্সায় লুকিয়ে থাকা অপরাধীর কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাতে পারেন- এমনকি প্রাণটা চলে যেতে পারে। তেমন এক ঘটনার সাথে নিজেই জড়িয়ে যাই। আপাতত মোবাইলটিই হারিয়েছি। আরেকটু অসর্তক হলে হয়তো প্রাণটাই যেত চলে।

গত ১১ই আগস্ট আমি অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলাম, নগরীর বন্দর বাজার থেকে উপশহর যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমি একটি সিএনজিত উঠলাম, এই সিএনজিতে আমি সহ প্যাসিঞ্জার ছিলাম ৫জন, আমি গাড়ীতে যখন উঠেছিলাম গাড়ীতে বাকী ৪জন প্যাসিঞ্জার ছিল, গাড়ী ড্রাইভার আমাকে উপশহর যাবে বলে গাড়ীতে তুলেছিল, কিন্তু নগরীর সোবহানীঘাটস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালের পাশে যাওয়ার পর একজন প্যাসিঞ্জার বলল এদিকে যাচ্ছ কেন ড্রাইভার বলল একজনের সাথে দেখা করব, বলে ড্রাইভার আবার গাড়ী ঘুরিয়ে ফেলল, গাড়ী ঘুরিয়ে শিশু পার্ক হয়ে টিলাগড় যাওয়ার জন্য রওয়ানা দিল, আমি বললাম ভাই আপনি কোথায় যাবেন ড্রাইভার সহ একজন প্যাসিঞ্জার বল গাড়ী টিলাগড় যাবে আমি বললাম তাহলে আমাকে গাড়ীতে তুললেন কেন উপশহর বলে, আমি বললাম গাড়ী থামান, গাড়ী ড্রাইভার গাড়ী কিন্তু থামাচ্ছিলনা, পরে আমার ধমকে গাড়ীর ড্রাইভার গাড়ী থামালো ।

আমি গাড়ী থেকে নামার কতক্ষণ পর আবিস্কার করলাম আমার samsung Galaxy ফোনটি নাই, ড্রাইভার সহ প্যাসেঞ্জার গুলি আমার মোবাইলটি নিয়ে গেছে, হয়ত আরো কোন বড় কোন পরিকল্পনা ছিল তাদের, আল্লাহপাকের শোকরিয়া আল্লাহপাক আমাকে বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে বাচাইছেন, ঘটনাটি ২-৩ জনের কাছে শেয়ার করেছি তারা আমাকে বলেছেন এ রকম ঘটনা নাকি এই এলাকায় প্রায় সময় ঘটে, এক জায়গায় বলে গাড়ীতে তুলে শিশু পার্ক কিংবা ইবনে সিনার আশে পাশে গিয়ে বলে অন্য জায়গায় যাবে পরে যাত্রীকে নামিয়ে দে এর পর যাত্রী দেখে তার টাকা পয়সা কিংবা মোবাইল নিয়ে গেছে।

অনলাইন পত্রিকার সিলেট ভিউর স্টাফ রিপোটার দিব্যর কাছে বিষয় শেয়ার করেছিলাম দিব্য বললেন উনি নাকি বিষয় নিয়ে কমপক্ষে ৫টি নিউজ করেছেন।

আমার লিখাটি লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে সতর্কতার জন্য, আমরা সবাই সচেতন হই এররকম ঘটনা যদি আরো কারো ক্ষেত্রে ঘটে তাহলে গাড়ীতে নামার পর গাড়ীর ড্রাইভার কিংবা প্যাসেঞ্জারকে চেক করুন, প্রয়োজনে রাস্তার আশেপাশের মানুষের সহযোগিতা চান আর সম্ভব হলে পুলিশের সহযোগিতা গ্রহন করুন, এই বিষয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর সুদৃষ্ঠি কামনা করছি, প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্ঠি কামনা করছি।