সিলেটে মোটরসাইকেল চোরের একটি বড় গ্যাং ধরা পড়েছে পুলিশের জালে। রোববার ও সোমবার (৩০ ও ৩১ মে) সিলেট মহানগরী এবং কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- কোম্পানীগঞ্জ থানার দক্ষিণ বুড়দেও গ্রাামের আব্দুস সালামের ছেলে সজল আহমদ (২৪), সিলেটের শাহপরাণ থানার ইসলামপুর এলাকার মৃত বদরুল ইসলামের ছেলে খায়রুল ইসলাম রায়হান (২০), শাহপরাণ থানার সুরমা গেট এলাকার বশির আহমদের ছেলে আল আমিন হোসেন শিমুল (২০), একই এলাকার আব্দুল মোতালেবের ছেলে জিহাদ (২০), কানাইঘাট থানাধীন ঢালাইচর গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে আলী হোসেন জনি (২৪), শিবনগর গ্রামের এবাদত রহমানের ছেলে মারুফ আহমদ (২৭) ও শ্রীপুর গ্রামের মৃত কুতুব আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন দুলাল।

সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া শাখা জানায়, গত ১০ মে সন্ধ্যার সময় কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন দয়ারবাজার পয়েন্ট হতে ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক কোম্পানীগঞ্জ কালিবাড়ী গ্রামের বিলাল আহমদকে এক ছদ্মবেশী ছিনতাইকারী ভাড়ায় বুড়িডহর গ্রামে যাওয়ার জন্য ৩৫০ টাকায় চুক্তি করে। রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজের সামনে আসামাত্র পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আরও দুইজন ছিনতাইকারী রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়, পরে যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীসহ আরও দুইজন ছুরি দিয়ে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে বিলাল আহমদের মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বিলাল বাদি হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে থানাপুলিশের পাশাপাশি জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ছিনতাইকারী চক্রকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারে অভিযানে নামে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার বিকেল থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত জেলা গোয়েন্দা শাখা (উত্তর), কোম্পানীগঞ্জ থানা এবং কানাইঘাট থানার কয়েকটি টিম কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা এবং সিলেট মহানগরী এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ আসামিকে গ্রেফতার করে।

এদের মধ্যে সজল আহমদ ঘটনার সময় সরাসরি ছিনতাইকাজে অংশ গ্রহণ করেন। অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল একে অপরের নিকট বিক্রি করেছেন। সর্বশেষ বিবাদি মারুফের হেফাজত থেকে ভিকটিমের ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

অভিযানকালে আসামি আল আমিন শিমুলের তথ্যের ভিত্তিতে আরও একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, গ্রেফতারকৃত আসামি সজলের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানা, সিলেটের কোতয়ালি এবং এয়ারপোর্ট থানায় ইতোপূর্বে ছিনতাই (দ্রুত বিচার)সহ মোট ৮ টি মামলা রয়েছে। আসামি রায়হানের বিরুদ্ধে শাহপরাণ থানায় ২ টি দ্রুত বিচার এবং অপর ১টি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে। আসামি দুলালের বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্ট ও হত্যাচেষ্টাসহ মোট ৪ টি মামলা রয়েছে।

আসামিদের মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান জানান, সাম্প্রতিককালে কোম্পানীগঞ্জসহ বেশ কিছু এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ সুপার মহোদয়ের ক্লোজ মনিটরিংয়ে কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট থানা এবং ডিবির কয়েকটি টিম বিরামহীন অভিযানে মূল ছিনতাইকারীসহ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে চোরাই ২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যান্য ছিনতাইকারী গ্রেফতারসহ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে জেলা পুলিশ।

বিয়ানীবাজারে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল : সেমিফাইনালে মোল্লাপুর ইউনিয়ন, পৌরসভা-চারখাই ম্যাচ অমীমাংসিত