সিলেট নগরীর জল্লারপাড় এলাকায় শাহ আমিন (র.) এর মাজারের ভেতর রক্ত নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। দেখা দিয়েছে মানুষের মধ্যে কৌতূহল। মাজারের ভেতর সম্পুর্ণ টাইলসজুড়ে রক্তের সাথে পায়ের ছাপ লেগে থাকায় দেখা দেয় আতঙ্ক। মাজারের ভেতর কেউ আক্রমণের শিকার হয়েছেন এমন ধারণা থেকেই আতঙ্কিত হয়েছেন মানুষ। রোববার (৯ মে) সকাল থেকে এ দৃশ্য দেখতে লোকজন ভিড় করছেন।

দুপুর সাড়ে ১২ টায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় মাজারের বাইরে মানুষের ভিড়। আর পুরো মাজারের ভিতর রক্তে রঞ্জিত। আর এসব রক্তের উপর মানুষের খালি পায়ের ছাপ। এসময় আশপাশ মানুষের সাথে কথা বললে কেউ কিছু দেখেছেন বলে জানাতে পারেননি। এ ঘটনাটি নিয়ে সিলেটের একটি অনলাইন গণমাধ্যমে প্রত্যক্ষদর্শী একজন নারী জানান, ‘সকাল ৮ টার দিকে একজন লোক রক্তাক্ত এবং উলঙ্গ অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় জল্লারপাড় রিকশা নিয়ন্ত্রণে যেসব পুলিশ থাকেন তাদের জানাই। পরে তারা ওই লোকটাকে কাপড় পরিয়ে কিছু টাকা দিয়ে হাসপাতালে পাঠান। লোকটা পাগল। পুলিশের এরা বলেছেন ওই লোক নিজে নিজে পায়ের রগ কেটেছে।’

এদিকে এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে বেলা আড়াইটার দিকে তিনি বলেন, ‘এখানে একজন পাগল মহিলা ছিলো। যার পা কাতা গিয়েছিলো। সকাল সাড়ে ৬ টা বা ৭ টার দিকে হবে ঘটনাটা। এগুলো তারই রক্ত।’

আর কোতোয়ালী থানার ওসি এসএম আবু ফরহাদ বলেন, ‘খবর পেয়ে লোক পাঠিয়েছিলাম। সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আমাদের লোকজন গিয়ে খবর নিয়ে জানতে পেরেছে একজন পাগল নারী তাঁর নিজের পা কেটে এই মাজারের ভিতর আশ্রয় নিয়েছিলো। এবং এখানে বসে সে পায়ে কাপড় বেঁধে রক্ত আটকানোর চেষ্টা করেছে। পরে সে চলেও গেছে।

পুলিশ হাসপাতালে পাঠিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসময় আমাদের কোন টিম থাকার কথা না। তবে আমরা সকল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি সিসিটিভির ফুটেজগুলো যাচাই করে দেখব।’

অপরদিকে এ মাজারের দেয়াল ঘেঁষা ঘরের বাসিন্দা বিদ্যুৎ শ্যাম পুরকায়স্থের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমার জানলার পাশে মাজার। রাত অন্তত আড়াইটা পর্যন্ত আমি জেগে ছিলাম। কিন্তু কোন শব্দ বা সন্দেহজনক কিছু শুনতে পাইনি। আর সকালেও কিছু শুনা যায়নি। পরে ঘুম থেকে উঠে বেরিয়ে সকলে যা দেখছেন আমরাও তা দেখছি।’

আর একদম নিকটবর্তী একটি খাবার দোকানের ব্যসায়ী শিরাজ নামের একজন বলেন, ‘প্রায় সময় নেশা করে অনেকজন উলটাপালটা কাজ করে। তাছাড়া পাগলরা অনেকসময় উদ্ভট অনেক কিছুই এখানে করে। তাই পাগল হতে পারে। সকালে আমি সাড়ে ১১ টার দিকে দোকান খুলতে এসে দেখি মানুষের ভিড় আর মাজারের ভিতর প্রচুর রক্ত। মানুষের ভিড়ের কারণে কাজ করতে পারছিলাম না। তাই আমি জল্লারপার যে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন উনাকে জানিয়েছি। উনি আমাকে বলেছে সকালে একজন পাগল নিজের পা কেটেছিলো। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।- সিলেট ভয়েস

বিয়ানীবাজারে ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে’র ঈদ উপহার পেলো ৮৮০টি পরিবার