মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। পাঁচ দিনব্যাপী এই দুর্গোৎসব উদযাপন শেষে বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ করেছেন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিলেটে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। মহানগরীর চাঁদনীঘাটে এর উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় সব অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির বিকাশের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে- এ প্রার্থনা করেন সনাতন ধর্মালম্বীরা।

জানা গেছে, বিজয়া দশমীতে দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাস থেকে বিশ্বের মুক্তির প্রার্থনা করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বিজয়া দশমী উপলক্ষে বিভিন্ন সংঘের উদ্যোগে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় সিলেটে। দর্পণ বিসর্জন আর দেবী আরাধনায় শেষ হয় দশমীর আচার-অনুষ্ঠান।

এবার সিলেট জেলায় ৬০৬টি মন্ডপে পূজা আয়োজিত হয়েছে। তার মধ্যে সার্বজনীন ৫৫৭টি, পারিবারিক ৪৯টি পূজোর আয়োজন হয়।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা সূত্রে জানা গেছে, সার্বজনীন আয়োজনে কোতোয়ালী থানা এলাকায় সার্বজনীন ২৯টি, পারিবারিক ১১টি, জালালাবাদ থানা এলাকায় ১৬টি, পারিবারিক ৪টি। এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় ৩৮টি, পারিবারিক ১টি। শাহপরান থানা এলাকায় সার্বজনীন ৩৮টি, পারিবারিক ১টি।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ১৩টি ও পারিবারিক ১টি। মোগলাবাজার এলাকায় ১৫টি, গোলাপগঞ্জ উপজেলায় সার্বজনীন ৫৬টি ও পারিবারিক ৩টি, বালাগঞ্জ উপজেলায় সার্বজনীন ৩০টি ও পারিবারিক ২টি, কানাইঘাট উপজেলায় সার্বজনীন ৩৫টি, জৈন্তাপূর উপজেলায় সার্বজনীন ২০টি, পারিবারিক ২টি, বিশ্বনাথ উপজেলায় সার্বজনীন ২৪টি ও পারিবারিক ২টি, গোয়াইনঘাট উপজেলায় সার্বজনীন ৩৬টি, জকিগঞ্জ উপজেলায় সার্বজনীন পূজা ৯৯টি, বিয়ানীবাজার উপজেলায় সার্বজনীন পূজা ৩৯টি, পারিবারিক ১২টি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সার্বজনীন ২৫টি, পারিবারিক ১টি, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় সার্বজনীন ৩৭টি, ওসমানীনগর উপজেলায় সার্বজনীন পূজা ২৬টি ও পারিবারিক ৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‌বিয়ানীবাজারের শামীম দম্পতির স্বপ্ন ভাঙছে কুশিয়ারা, আতঙ্কে কাটছে দিবারাত্রি