পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ঘটবে আজ মঙ্গলবার। এটা হবে বছরের শেষ চন্দগ্রহণ। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ আবার দেখা যাবে আড়াই বছর পর। এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে সিলেট থেকে। সিলেটে ৫টা ৫ মিনিট ৬ সেকেন্ডে থেকে রাত ৭টা ৫০ মিনিট ১২ সেকেন্ড পর্যন্ত চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।

আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও। রাজধানীসহ দেশের সকল বিভাগীয় শহরে গ্রহণটি দেখা যাবে।

জেনে নিন কোন বিভাগে কখন দেখা যাবে এই চন্দ্রগ্রহণ:

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চন্দ্রগ্রহণটি ঢাকা বিভাগীয় শহরে ৫টা ১২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে শুরু হবে এবং শেষ হবে রাত ৭টা ৫৭ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে।

ময়মনসিংহে ৫টা ১১ মিনিট ১২ সেকেন্ডে শুরু হয়ে শেষ হবে রাত ৭টা ৫৬ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে।

চট্রগ্রামে ৫টা ৯ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে শুরু এবং শেষ রাত ৭টা ৫৪ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে।

সিলেটে শুরু হবে ৫টা ৫ মিনিট ৬ সেকেন্ডে এবং শেষ হবে রাত ৭টা ৫০ মিনিট ১২ সেকেন্ডে।

খুলনায় ৫টা ১৭ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে শুরু হবে এবং শেষ হবে রাত ৮টা ২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে।

বরিশালে শুরু ৫টা ১৪ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে, শেষ রাত ৭টা ৫৯ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে।

রাজশাহীতে ৫টা ১৮ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে শুরু হবে এবং শেষ হবে রাত ৮টা ৩ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে।

রংপুর বিভাগে ৫টা ১৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে শুরু হবে এবং শেষ হবে রাত ৮টা ৩৬ সেকেন্ডে।

মঙ্গলবার এই পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণটি শুরু হবে বিকাল ৪টা ১৬ মিনিট ১৮ সেকেন্ড। চন্দ্রগ্রহণটির গতিপথ হবে যুক্তরাজ্যের হাওয়াই দ্বীপের অশান ভিউ থেকে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় গ্রহণ হবে বিকাল ৪টা ৫৯ মিনিট ৬ সেকেন্ডে। চাঁদের নির্গমন ঘটবে ৫টা ৪২ মিনিটে।

উল্লেখ্য, চাঁদ যেমন পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে তেমন পৃথিবীও সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এইভাবে একটা সময় চাঁদ, সূর্য, পৃথিবী ঘুরতে ঘুরতে এক সরলরেখায় আসে। যখন এই সরলরেখায় পৃথিবী চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে আসে তখন পৃথিবীর ছায়ার জন্য চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছায় না, ফলে চাঁদকে তখন কিছু সময়ের জন্য দেখা যায় না। অর্থাৎ পৃথিবী পৃষ্ঠের কোনো দর্শকের কাছে চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। তখন একে সংক্ষেপে চন্দ্রগ্রহণ বলে। এই সময় পৃথিবী সূর্যকে আংশিক ঢেকে নিলে পৃথিবীর জন্য চাঁদকে আংশিক দেখা যায় না একে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলে। আর পৃথিবী সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে নিলে পৃথিবীর জন্য চাঁদকে পুরোপুরি দেখা যায় না তখন পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হয়।

‌ বিয়ানীবাজারে পড়ার সাথে খেলার সুযোগ পেয়েছে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা