সিলেট নগরীর মজুমদারি এলাকায় বাসার ছাদ থেকে দুই বোনের লাশ উদ্ধার হলেও আসলে কি ঘটেছিলো সেটি এখনো অনুমান করতে পারছেন না পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা হিসেবে ধারণা করা হলেও এটি আরও সময় নিয়ে ক্ষতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করছে পুলিশ।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, দুই বোনের লাশ উদ্ধারের পর প্রতিবেশী বা স্বজনদের সাথে কথা বলে যেটুকু জানা গেছে তাতে বিয়ে শাদি নিয়ে একটা হতাশা থাকতে পারে। তাঁদের সকলের অনেক বয়স হলেও এখনো বিয়ে হচ্ছে না। তাছাড়া এরা নানা কারণে অনেকটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তবে আমরা এখনই কোন বিষয় নিশ্চিত করে বলতে পারছিনা। আরও জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত প্রয়োজন।

এর আগে মজুমদারী এলাকার ৩১ নং বাসার ছাদ থেকে রাণী জমিদার (৩৮) ও ফাতেমা বেগম (২৭) নামে দুই বোনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা দুইজন ওই বাসার কলিমউল্লাহর মেয়ে।

এদিকে দুই বোনের লাশ উদ্ধারের ব্যাপারে বিমানবন্দর থানার আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, সকাল ৬ টার দিকে আশপাশের লোকজন জানালা দিয়ে তাদের দুই বোনের লাশ বাসার ছাদের রডে ঝুলে থাকতে দেখে চিল্লাচিল্লি শুরু করেন। তখন আমাদের খবর দেওয়া হয়। আমরা গিয়ে দেখি নিজেরা ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। তখন লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক ভাবে এটি আত্মহত্যা হিসেবেই মনে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা কিছুটা মানসিক ভাবে অস্বাভাবিক ছিলেন। কারো সাথে তেমন মিশতেন না। কোন মোবাইল ফোনও নেই। বাসায় ল্যান্ড ফোন আছে। এক বোনের বিয়ে হলেও অন্য ভাই-বোনের অনেক বয়স হলেও বিয়ে হচ্ছে না। তাছাড়া প্রতিবেশী কারো সাথে তেমন সম্পর্ক নেই। সব মিলে মানসিক সমস্যা থেকেই তারা হয়ত আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তবে বিস্তারিত তদন্ত করে বের করা হবে। আরও কোন কারণ আছে কি না সেটাও জানা যাবে।

শখের বশে বিয়ানীবাজারের এক প্রবাসী নিজ বাড়িতে পালন করছেন চিত্রা হরিণ