সিলেট সিটি নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন প্রথম আলোর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মিজবাহ উদ্দিন। তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এসে পুলিশের হামলার শিকার হন জালালাবাদ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদন কামরুল ইসলাম। সোমবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

সিলেট নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডের দরগা জালালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী জাল ভোট দিচ্ছিলেন। মিজবাহ এ সময় এই জাল ভোটের ছবি তুলছিলেন। তখন ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এরপর সেখানে পুলিশ এসে তাঁকে বেধড়ক পেটায়। পুলিশের কয়েকজন সদস্য মিজবাহকে পেটাতে থাকে। ছাত্রলীগ কর্মীরাও হামলায় অংশ নেয় বলে জানিয়েছেন মিজবাহ। হামলায় মিজবাহর পিঠ ও ডান হাতের কিছু অংশ ফেটে যায়।

পেটানোর পর ছাত্রলীগের কর্মীরা মিজবাহর মোবাইল ফোন থেকে জাল ভোট দেওয়ার ভিডিও মুছে ফেলেন। পরে তা ফেরত দেন।

হামলায় আহত মিজবাহকে দ্রুত সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখন সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন। অপর সাংবাদিক কামরুল স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, মিজবাহকে হামলা থেকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গেলে এক পুলিশ সদস্য আমাকে লাথি মারে। এতে আমি পড়ে যাই।

এ ঘটনার পর সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।