সিলেট নগরীর উত্তর কাজীটুলার এলাকার অন্তরঙ্গ ৪/এ বাসায় স্বামীর হাতে নিহত গৃহবধূ তামান্না হত্যার প্রতিবাদে গোলাপগঞ্জে সর্বস্থরের নাগরিকবৃন্দের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলার পৌর শহরের চৌমুহনী জামে মসজিদের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে তরুণ সমাজসেবক মুন্না চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ফাহিম আহমদের পরিচালনায় শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন তরণ সংগঠক সিদ্দিক বিন এনাম।

এসময় বক্তব্য রাখেন- গোলাপগঞ্জ মাইক্রোবাস শাখার সভাপতি লায়েক আহমদ, সিএনজি অটোরিকশার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাহেল আহমদ তালুকদার, গোলাপগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও স্বেচ্ছাসেবক পাঠশালার সভাপতি রুবেল আহমদ, গোলাপগঞ্জ সামাজিক সংগঠন ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব সাবের হোসেন নয়ন, সাংবাদিক ডিএইচ মান্না, ছাত্র নেতা রুম্মান আহমদ, রাজু আহমদ, মধ্য ঘোষগাঁও তরুণ প্রজন্মের সভাপতি মোঃ ফাহিম আহমদ।

পরিবারে পক্ষ বক্তব্য রাখেন- নিহত সৈয়দা তামন্নার বেগমের বড় বোন সৈয়দা পান্না বেগম, খালোতা ভাই ইকবাল আহমদ উপস্থিত ছিলেন নিহতের বড় ভাই সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বোন সৈয়দা ঝরনা বেগম, সৈয়দা সিমা বেগম, চাচা সৈয়দ মুজিব আলী, দুলা ভাই সুহেল মিয়া, ভাগনি মোছাম্মদ তানজিনা আক্তার, ভাগনা সুহান মিয়া।

মানববন্ধনে নিহত তামান্না বেগমের বড় বোন সৈয়দা পান্না বেগম অনেকটা আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, সুখের আশায় আমার বোনকে মামুনের সাথে বিয়ে দিয়ে ছিলাম। কিন্তু আমার বোনকে মামুন যৌতুকের কারণে হত্যা করেছে। এর সাথে জড়িত মেঘনা লাইফ ইনসুরেন্সে কর্মরত শাহনাজ পারভীনসহ সবাইকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির অনুরোধ করেন।

এসময় বক্তারা বলেন, সিলেটর ইতিহাসে একেরপর এক ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেই চলেছে। আমরা আর কত মানববন্ধন করব! কত মানববন্ধন করলে আমাদের মা-বোনরা খুন হবে না। এ ধরণের জগন্যতম অপরাধ যাতে আর নায় সেজন্য তামান্না হত্যার সাথে যারাই জড়িত তাদেরকে খুব দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমৃলক শাস্তির দাবি করেন।