সিলেটসহ সারা দেশে করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৭০ জন মারা গেছেন। এছাড়া গত এক সপ্তাহে মারা গেছেন সর্বোচ্চ ১৭৯ জন। উপসর্গ নিয়ে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন চট্টগ্রাম বিভাগে ৩১০ জন। আর সিলেট বিভাগে মারা গেছেন ৭০ জন। দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর তালিকায় ষষ্ট স্থানে সিলেটের অবস্থান। বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরি (বিপিও) এমন তথ্য দিয়েছে। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস) একটি প্রকল্প। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপির আর্থিক সহায়তায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে প্রতিবেদন দিচ্ছে তারা।

গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, করোনার উপসর্গ নিয়ে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে চট্টগ্রাম বিভাগে ৩১০ জন। এরপর ঢাকায় ২৭০, খুলনায় ১১২, রাজশাহী ১১০, বরিশাল ১০৪, সিলেট ৭০, রংপুর ৬১ ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৩ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের ২৫টি গণমাধ্যমের সংবাদ বিশ্লেষণ করে শুক্রবার নতুন প্রতিবেদন দিয়েছে বিপিও। বিপিও বলছে, গত ৮ মার্চ থেকে করোনা বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রকাশিত তথ্য সংগ্রহ করে প্রতি সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। এতে দেখা যায়, ২২ থেকে ২৮ মার্চের সপ্তাহে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়। এর পরের সপ্তাহে এটি দাঁড়ায় ৬৩ জনে। পরের সপ্তাহগুলোতে ১০৬, ১২০ এ পৌঁছায়। তারপর আগের সপ্তাহের চেয়ে কমতে থাকে। গত ছয় সপ্তাহে এটি কমার দিকেই প্রবণতা ছিল। ১১৪, ৯৩, ৫০, ৬৭, ৪৮ ও ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মাঝে কমলেও তিন সপ্তাহ ধরে এটি বাড়ছে।

বিপিও গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা নিয়মিতভাবে তথ্য যাচাই-বাছাই করে সংশোধন করছেন। ফলে প্রকাশিত পুরোনো তথ্যও মাঝেমধ্যে পরিবর্তন করা হচ্ছে। এর আগে ১৯ মে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ১ হাজার ১০ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিলেন তাঁরা। পরে এটি সংশোধন করে। গত সপ্তাহের প্রতিবেদনে আগের তিন সপ্তাহের দেওয়া তথ্য পরিবর্তন করা হয়েছে। আর নতুন প্রতিবেদনে আগের সপ্তাহে মৃত্যুর তথ্য সংশোধন করায় মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, করোনা রোগীর মতো উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেও তাঁরা করোনায় আক্রান্ত নাও হতে পারেন। একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে ৮৫ শতাংশের করোনা পাওয়া যায়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে।

গবেষকেরা বলছেন, দৈনিক সংবাদপত্র জাতীয় ও আঞ্চলিক, টেলিভিশন, অনলাইন মিলে ২৫টি গণমাধ্যম থেকে প্রতিদিন তথ্য নিচ্ছে বিপিও। এরপর এসব তথ্য থেকে মোটামুটি গ্রহণযোগ্যটা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। তবে মাঠপর্যায় থেকে এসব তথ্য যাচাই করা হয় না।

প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করোনায় মৃত্যুর হিসাব দেওয়া হয় প্রতিদিন। তবে করোনার উপসর্গ বা সন্দেহজনক মৃত্যুর কোনো সরকারি তথ্য দেওয়া হয় না।

বিয়ানীবাজার উপজেলার করোনা আক্রান্তের ৬০ভাগ পৌর এলাকার বাসিন্দা