সিলেট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পূজামন্ডপ রয়েছে জকিগঞ্জে। এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৯৩টি মন্ডপ রয়েছে। তন্মধ্যে ৯১টিই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ। এসব ঝুঁকিপূর্ণ মন্ডপে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বর্তমানে জকিগঞ্জ উপজেলাজুড়ে পূজামন্ডপগুলোতে চলছে দেবী আরাধনার চূড়ান্ত প্রস্তুতি। শেষ সময়ে শিল্পীরা রঙের প্রলেপ দিয়ে দুর্গা আর দেব-দেবতাকে সাজিয়ে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দুর্গোৎসবের আমেজে মেতে উঠেছেন পূজার্থীরা। উৎসব হবে নির্বিঘ্নে এমনটাই প্রত্যাশা সনাতন ধর্মালম্বীদের।

ইতিমধ্যে শারদীয় দুর্গোৎসব যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালনের লক্ষ্যে পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের সাথে পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন পৃথক বৈঠক করেছে। শারদীয় দূর্গোৎসবে আইন-শৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে পূজাম-পগুলোর জন্য নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি আনসারও দেয়া হবে বিভিন্ন মন্ডপে। প্রতিটি মন্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক টিমও থাকবে।

এদিকে, এবার জকিগঞ্জের ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৯৩ টি পূজাম-পের মধ্যে ৯১টি মন্ডপকে ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে উপজেলা পূজা পরিষদ। এরমধ্যে অধিক ঝূঁকিপূর্ণ ১০টি, মোটামুটি ঝূঁকিপূর্ণ ৫৩টি ও সাধারণ ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে ২৮টি ম-পকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, ঝূঁকিপূর্ণ মন্ডপগুলোর প্রতি থাকবে কড়া নজরদারি। যেকোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন সার্বক্ষণিক কঠোর অবস্থানে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি সঞ্জয় চন্দ্র নাথ ও সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় বিশ্বাস শারদীয় বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব পালনে পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক সমাজের নেতৃবৃন্দসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

জকিগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার জানান, শারদীয় দুর্গোৎসব যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালনের লক্ষ্যে পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে। শালীনতার মধ্য দিয়ে শাস্ত্র মতে পূজা উদযাপনে প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সকল পূজামন্ডপে পুলিশ ও আনসারের পাশাপশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকও থাকবে।