আবু জায়েদ রাহী দুঃখ সিলেট সিক্সার্সের হয়ে বিপিএল পঞ্চম আসরের খেলার সুযোগ পাননি। সিলেট সিক্সার্সের দায়িত্বশীলরা ঘরের ছেলের কদর না বুঝলেও ঠিকই বুঝেছে খুলনা টাইটান্স। দলে ভিড়িয়ে তারা জানিয়ে দিয়েছে সোনা চিনতে ভুল করেনি। আজ রবিবার ঢাকার মাঠে রাহীর বোলিং নৈপূন্যে চিটাগাং ভাইকিংসকে হারিয়েছে খুলনা টাইটান্স। ম্যাচ সেরা হয়েছেন সিলেটের ছেলে রাহী। তিনি ৩৫ রানের বিনিময়ে চিটাগাংয়ের চার উইকেট তুলে নেন।

চিটাগাং ভাইকিংস এর বিপক্ষে ১৮ রানে জয় পাওয়া খুলনা টাইটান্সকে শুরুতে ব্রেক থ্রু এনে দেন রাহী। খুলনার দেওয়া ১৭১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে রাহীদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে চিটাগাং ভাইকিংস থেমেছে ১৫২ রানে।

বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ঘোরপাক খায় চিটাগাং ভাইকিংস। দুই ওপেনার রোঞ্চি ও সৌম্যকে ইনিংসের প্রথম ওভারে তুলে নেন রাহী। ৩য় ও ৪র্থ বলে দুটি উইকেট নিয়ে হ্যাট্রিকের স্বপ্ন দিখছিলেন আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। তবে ম্যাচের ৩য় উইকেটটিও তিনিই তুলে নেন। দলীয় রান যখন ২১ তখন মুনাওয়ারা শিকারে পরিনত হন আবার আবু সাঈদের হাতে। ১ চার ১ ছক্কায় ৫ বলে ১০ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি।

দলীয় ৩৮ রানে ২ চার ১ ছক্কায় ১৪ বলে ১৮ রান করে আর্চার এর তালুবন্দি হোন এনামুল।

পাওয়ারপ্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা ভাইকিংস অধিনায়ক মিসবাহ আর সিকান্দার রাজা ব্যাটে পথে ফিরে। সিকান্দার-মিসবাহর জুটি ভাঙেন সাফিউল। ৪ চার আর ১ ছক্কায় ২৭ বলে ৩৭ রান করে মাঠ ছাড়েন রাজা। এর পর রাহির বলে শান্তর তালুবন্দি হন মিসবাহ।

তারপর ম্যাচ টানের তানভির হায়দার আর রিচি। দলীয় ১৩৭ রানে শিকার নেন আর্চার ।তারপর আর জয়ের স্বপ্ন দেখতে পারে নি ভাইকিংস। ৭ উইকেটে ১৫২ রানেই গুটিয়ে পরে চিটাগাং ভাইকিংস। ১৮ রানে জয় পায় ঝুলনা টাইটানস।

বল হাতে ৩৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী। আর্চার, সাফিউল আর ব্রাথোউএট প্রত্যেকেই একটি করে উইকেট পেয়েছেন।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ১২ নভেম্বর দিনের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানের বড় সংগ্রহ পায় খুলনা টাইটান্স। দলের পক্ষে অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ করেন ৩৩ বলে ৪০ রান।

ব্যাট করতে নেমে বেশিক্ষণ টিকেনি খুলনার ওপেনিং জুটিই। ১ম ওভারে দলীয় ৬ রানের সময় মাঠ ছাড়েন ওপেনার ওয়ালটন। দলীয় সংগ্রহ যখন ১৩ রান , তখন নিজের ২য় শিকার তুলে নেন সুঞ্জামুল ইসলাম। ব্যক্তিগত ২ রান করেই ফিরেন ক্লিঙ্গার। এক চারে ১০ বলে ৯ রান করে মাঠ ছাড়েন ওপেনার শান্ত।

এরপরে দলের হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ আর এনামুল হক। ২ চার ২ ছক্কায় নিজের ইনিংস বড় করেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। ৩৩ বলে তার সংগ্রহ ৪০ রান। অপরদিকে ১ চার আর ৪ ছক্কায় মাঠ কাপান এনামুল হক। মাত্র ২৫ বলেই তুলে নেন ৪০ রান।

শেষটায় ব্রেথওয়েট আর আর্চার এর ব্যাটে ভরকরে এগিয়ে যায় খুলনা টাইটানস। ২ চার,৩ ছক্কায় ব্রেথওয়েট এর সংগ্রহ ১৪ বলে ৩০। আর ৪ বলে ১১ রান করে অপরাজিত থেকেই ইনিংস শেষ করেন আর্চার।